বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন

সুপার কাপে উয়েফার বার্তা: ‘শিশু হত্যা বন্ধ কর, বেসামরিক হত্যা বন্ধ কর’

স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ১ প্রদর্শন করেছেন

ইতালির উদিনেতে প্যারিস সেন্ট জার্মেই ও টটেনহ্যামের মধ্যে সুপার কাপ ম্যাচ শুরুর আগে উয়েফা মাঠে বড় একটি ব্যানার প্রদর্শন করে। তাতে লেখা ছিল ‘শিশু হত্যা বন্ধ করুন, বেসামরিক হত্যা বন্ধ করুন’। ফিলিস্তিনি ফুটবলার সুলেইমান আল-ওবেইদের মৃত্যুর পর নীরব প্রতিক্রিয়ার জন্য সমালোচনার মুখে পড়ে উয়েফা। এরই মধ্যে এই বার্তা দিল ইউরোপের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

উয়েফা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানায়, ‘বার্তাটি জোরালো এবং পরিষ্কার। একটি ব্যানার। একটি আহ্বান।’ খেলা শুরুর আগে ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, ইউক্রেন ও ইরাকের নয়জন শিশু এই ব্যানার হাতে মাঠে নামে।

গত সপ্তাহে লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহ উয়েফার দেয়া সংক্ষিপ্ত শ্রদ্ধা জানানোর সমালোচনা করেছিলেন। উয়েফা তাদের পোস্টে সুলেইমানকে উল্লেখ করেছিল ‘একজন প্রতিভা যিনি অন্ধকার সময়েও অসংখ্য শিশুকে আশা দিয়েছিলেন’। কিন্তু সালাহ বলেন, ‘আপনি কি বলতে পারেন তিনি কিভাবে, কোথায় এবং কেন মারা গেলেন?’

ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ৪১ বছর বয়সী সাবেক জাতীয় দলের সদস্য সুলেইমান আল-ওবেইদ দক্ষিণ গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষা করা অবস্থায় ইসরাইলের এক হামলায় নিহত হন।

ফুটবল ফিলিস্তিনের প্রতিষ্ঠাতা বাসিল মিকদাদি আল জাজিরাকে বলেন, ‘উয়েফা কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে আমার মনে হয় না। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফুটবল এবং খেলোয়াড়দের সংস্থাগুলোর নীরবতা অব্যাহত আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সুলেইমান আল-ওবেইদ প্রথম ফিলিস্তিনি ফুটবলার নন যিনি এই গণহত্যায় নিহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে ৪০০ জনের বেশি মারা গেছেন, তবে তিনি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পরিচিত মুখ।’

সালাহ আগেও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের পক্ষে কথা বলেছেন। তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এত দেরিতে তিনি এই বিষয়ে মন্তব্য করলেন।

এই ব্যানার প্রদর্শনের এক দিন আগে উয়েফা ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন যুদ্ধক্ষেত্রের শিশুদের সহায়তার জন্য নতুন উদ্যোগ ঘোষণা করে। এতে যুক্ত হয়েছে মেডেসিন দ্যু মন্ড, ডাক্তারস উইদাউট বর্ডার্স এবং হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল।

উয়েফা জানায়, এই সংস্থাগুলো গাজার শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তা দিচ্ছে। এছাড়া আফগানিস্তান, লেবানন, সুদান, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইউক্রেনের সংঘাতপ্রবণ এলাকায়ও শিশুদের জন্য কাজ করছে তারা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ