ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে হওয়া উত্তপ্ত মুখোমুখি ছিল নজিরবিহীন।
সেই বৈঠকের পর জেলেনস্কিকে কার্যত ওভাল অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল—যা দেখে বিশ্ব হতবাক হয়েছিল। অনেকে তখনই মনে করেছিলেন, দুই নেতার সম্পর্কের আর ফেরার পথ নেই।
তবে গত কয়েক মাসে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যস্থতা ও পর্দার আড়ালের কূটনীতির মাধ্যমে ধীরে ধীরে সম্পর্ক পুনর্গঠন হয়েছে। জেলেনস্কিকে শেখানো হয়েছে কিভাবে ট্রাম্পের ভাষায় কথা বলতে হবে—চুক্তি, লাভ এবং প্রশংসার ভাষায়। অর্থাৎ, কার্যত ‘ট্রাম্পকে ট্রাম্পের ভাষায় বোঝানো’।
এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়ে যেতে থাকায় ট্রাম্পও উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন গোপন বৈঠকে যা বলেন তা সবসময় বাস্তবে কার্যকর হয় না।
এপ্রিল মাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ চুক্তি হয়, যাতে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের খনিজ খাতে আর্থিক অংশীদারিত্ব পায়। একই সময় ভ্যাটিকানে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে ব্যক্তিগত বৈঠক হয়। ইউক্রেন পরিষ্কার জানিয়ে দেয়—আমেরিকান অস্ত্র তারা কিনতে প্রস্তুত।
জুলাইতে ফোনালাপে জেলেনস্কি সেই কথোপকথনকে বর্ণনা করেন ‘এখন পর্যন্ত আমাদের সেরা আলাপ’ হিসেবে।
তবুও ঝুঁকি রয়ে গেছে। ট্রাম্প এখনও প্রশংসা ও শক্তিমান নেতাদের দ্বারা প্রভাবিত হন বলে মনে করা হয়, আর তাই পুতিনের উপর তার ঝোঁক ইউক্রেনের জন্য উদ্বেগের বিষয়। কিন্তু জেলেনস্কি শিখছেন।
আর সোমবারের ওভাল অফিস বৈঠকের আগে ইউরোপ তার পেছনে রয়েছে। আর তাইতো জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস বলেন, ‘আমরা (জেলেনস্কিকে) কিছু ভালো পরামর্শ দেব’।