দুবাইয়ের শাসক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের কন্যা, রাজকুমারী শেখা মাহরা মোহাম্মদ রাশেদ আল মাকতুম বাগদানের ঘোষণা দিয়েছেন। মার্কিন র্যাপার ফ্রেঞ্চ মনটানার সঙ্গে তিনি নতুন সংসারজীবন শুরু করতে যাচ্ছেন ।
টিএমজেডকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রেঞ্চ মনটানার পক্ষ থেকে গত জুনে প্যারিস ফ্যাশন উইকের সময় সম্পর্কটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। এর আগে ২০২৪ সালের শেষ দিকে শেখা মাহরা ও ৪০ বছর বয়সি মনটানাকে একসঙ্গে দেখা যায়। সে সময় রাজকুমারী তাকে দুবাই ভ্রমণে নিয়ে যান এবং সামাজিক মাধ্যমে ছবি শেয়ার করেন। এরপর মরক্কো ও দুবাই শহরে ঘুরে বেড়ানো, রেস্তোরাঁয় ডিনার, মসজিদ পরিদর্শন এবং প্যারিসের পন্ট দেস আর্টস ব্রিজে হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক আলোচনায় আসে।
তাদের একসঙ্গে প্যারিসের বিভিন্ন ফ্যাশন ইভেন্টে হাত ধরাধরি করে উপস্থিত হওয়ায় বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়। তবে এই ঘোষণা এসেছে এমন সময়ে, যখন শেখা মাহরার আগের বিয়ে ভেঙে গেছে। তিনি ২০২৩ সালের মে মাসে শেখ মানা বিন মোহাম্মদ বিন রাশিদ বিন মানা আল মাকতুমকে বিয়ে করেছিলেন। এ দম্পতির একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিয়ের কিছুদিন পরেই বৈবাহিক সম্পর্কে ভাঙন ধরে। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে শেখা মাহরা লিখেছিলেন—‘প্রিয় স্বামী, যেহেতু আপনি অন্য সম্পর্কে ব্যস্ত, আমি আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা করছি। আমি আপনাকে তালাক দিচ্ছি, আমি আপনাকে তালাক দিচ্ছি, আমি আপনাকে তালাক দিচ্ছি। নিজের খেয়াল রাখবেন। আপনার সাবেক স্ত্রী।’ এরপর তিনি নিজের ব্র্যান্ড ‘মাহরা এম১’-এর অধীনে নতুন পারফিউম লাইন ‘ডিভোর্স’ বাজারে আনেন।
শেখা মাহরা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি মোহাম্মদ বিন রাশিদ স্কুল অব গভর্নমেন্ট থেকে বিশেষ যোগ্যতা অর্জন করেন।
অন্যদিকে ফ্রেঞ্চ মনটানার আসল নাম কারিম খারবুশ। তিনি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় গান ‘আনফরগেট্যাবল’ ও ‘নো স্টাইলিস্ট’-এর জন্য পরিচিত। পাশাপাশি দাতব্য কাজের ক্ষেত্রেও তার সুনাম রয়েছে। উগান্ডা ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসংক্রান্ত প্রকল্পে তিনি অর্থায়ন করেছেন।
মনটানা ২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উদ্যোক্তা ও ডিজাইনার নাদিন খারবুশের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। এ দম্পতির ১৬ বছর বয়সী এক পুত্রসন্তান রয়েছে, যার নাম ক্রুজ খারবুশ।