গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন মার্কিন প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পেয়েছে এবং আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে।
রোববার এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘আমরা যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কিছু ধারণা পেয়েছি, যা মধ্যস্থতাকারীরা আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের জনগণের ওপর চলমান আগ্রাসন বন্ধে সহায়ক, এমন যেকোনো পদক্ষেপকে হামাস স্বাগত জানায়।’
সংগঠনটি জানায়, তারা ‘যুদ্ধ বন্ধের একটি স্পষ্ট ঘোষণা এবং গাজা উপত্যকা থেকে সম্পূর্ণ ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের বিনিময়ে সব বন্দিদের মুক্তির জন্য তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত’।
হামাস গাজার প্রশাসনিক বিষয় পরিচালনার জন্য একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি কমিটি গঠনের প্রস্তাবেও সম্মত হয়েছে এবং দাবি করেছে, ইসরাইল যেন চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পর তা কার্যকর করতে বাধ্য থাকে। তাদের ভাষ্য, ‘পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, যেখানে চুক্তি হওয়ার পরও তা প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করা হয়েছে।’
হামাস আরও জানিয়েছে, গত ১৮ আগস্ট তারা মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় এবং মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবের ভিত্তিতে একটি শান্তিচুক্তির খসড়া মেনে নিয়েছিল। কিন্তু ‘ইসরাইলি দখলদাররা এখনও কোনো সাড়া দেয়নি; বরং গণহত্যা ও জাতিগত নিধন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ‘
তাদের ভাষ্য, ‘এই কারণে হামাস এখনো মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে, যাতে এসব প্রস্তাব একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে রূপ নেয় এবং আমাদের জনগণের দাবিগুলো পূরণ করে। ‘
এর আগে রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি এও দাবি করেন যে, এ প্রস্তাবে ইসরাইল পুরোপুরি সম্মত হয়েছে। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, তারা এখনো ‘ট্রাম্পের প্রস্তাবটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে’।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৬৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এর মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।