ভ্যান্স বলেন, ‘তাদের প্রকাশ্যে সমালোচনা করুন। আর হ্যাঁ, তাদের নিয়োগকর্তাকেও জানান। সভ্য আচরণের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক সহিংসতাকে সমর্থন করি না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চার্লি কার্কের মৃত্যু নিয়ে অপ্রীতিকর পোস্ট করায় এখন পর্যন্ত কয়েকজন পাইলট, চিকিৎসা পেশাজীবী, শিক্ষক এবং গোপন সেবা সংস্থার এক কর্মীর চাকরি স্থগিত বা বা বরখাস্ত করা হয়েছে।
সমালোচকেরা বলছেন, চাকরি থেকে বরখাস্তের ঘটনা বাক্স্বাধীনতা ও কর্মচারীদের সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। তবে, কাগজে-কলমে দেশটির কোম্পানিগুলোর কর্মচারী বরখাস্তের ব্যাপারে ব্যাপক স্বাধীনতা রয়েছে।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে এক বিতর্ক অনুষ্ঠান চলাকালে চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার ঘাড়ে গুলি লেগেছিল। মৃত্যুর আগে প্রতিদিন ‘দ্য চার্লি কার্ক শো’ তিনি নিজেই উপস্থাপনা করতেন।
সোমবার সম্প্রচারিত পডকাস্টে ভ্যান্স বলেন, ‘আমেরিকার বামপন্থিদের রাজনৈতিক সহিংসতা সমর্থন ও উদ্যাপনের সম্ভাবনা অনেক বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড উদ্যাপনে কোনো শালীনতা নেই।’
ইউগভের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে উদারপন্থিরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মৃত্যুকে আনন্দের সঙ্গে নেওয়াকে রক্ষণশীলদের তুলনায় বেশি স্বাভাবিক বলে মনে করেন।
এমন এক সময়ে ভ্যান্সের মন্তব্য এল, যখন দেশটির রিপাবলিকান পার্টির অন্যান্য আইনপ্রণেতারাও জনসমক্ষে চার্লি কার্কের মৃত্যু উদ্যাপনকারীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান র্যান্ডি ফাইন গত রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘আমি তাদের বরখাস্ত, অর্থায়ন বন্ধ এবং লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানাব।’ একই সঙ্গে তিনি এটাও বলেছেন, ‘এ ধরনের মানুষকে সভ্য সমাজ থেকে বিতাড়িত করা উচিত।’
উল্লেখ্য, চার্লি কার্ককে হত্যায় জড়িত সন্দেহে টাইলার রবিনসন নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। ২২ বছর বয়সি রবিনসনকে তার বাবা ও এক বন্ধুর সহায়তায় গত বৃহস্পতিবার রাতে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।