মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

ট্রাম্প-এরদোগান বৈঠকে আলোচনা হলো যে ৪ বিষয়ে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৭ প্রদর্শন করেছেন

হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তাদের বৈঠকে গাজা যুদ্ধ, ইউক্রেন যুদ্ধ, সিরিয়া, এফ-৩৫ বিমান কেনা-বেচা নিয়ে আলোচনা হয়। খবর আল আরাবিয়া’র।

ওভাল অফিসে এরদোগানের পাশে বসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমাকে ইসরাইলি নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হবে। আমি মনে করি আমরা এটি করতে পারব। আশা করি আমরা এটি করতে পারব। অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে, তবে আমরা জিম্মিদের ফেরত চাই।‘

ট্রাম্প আরও জানান, তিনি সিরিয়া সম্পর্কিত একটি ‘বড় ঘোষণা’ দেবেন। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি।

এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছি, এটা তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে, কারণ নিষেধাজ্ঞাগুলো খুব কঠোর ছিল, তবে আমি মনে করি আজকে আমাদের একটি বড় ঘোষণা থাকতে পারে।

ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে এবং দেশটিকে মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনতে দিতে পারে। তবে তিনি চান আঙ্কারা যেন রাশিয়ান তেল কেনা বন্ধ করে।

প্রায় ছয় বছর পর এরদোগানের এটিই প্রথম হোয়াইট হাউস সফর।  ওভাল অফিসে পাশাপাশি বসে ট্রাম্প এরদোয়ানকে ‘খুব কঠিন মানুষ’ বলে অভিহিত করেন এবং জানান, তিনি চান তুরস্ক রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করুক।

রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসন প্রসঙ্গে এরদোগানকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলন, ‘রাশিয়া যখন এভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে, তখন আমি চাই না তিনি রাশিয়ার কাছ থেকে কোনো তেল কিনুন।’

তুরস্কের সঙ্গে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির বিষয়ে চুক্তি করার সম্ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি তিনি যেসব জিনিস কিনতে চান, সেগুলো কিনতে সফল হবেন।’

ট্রাম্প আরও জানান, তিনি খুব শিগগিরই তুরস্কের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারেন। তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের ভালো বৈঠক হয়, তবে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই।’

তিনি জানান, ওভাল অফিসে তাদের বৈঠকের পর মধ্যাহ্নভোজের সময় এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।

প্রথম মেয়াদে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প ও এরদোয়ানের সম্পর্ক ছিল উত্থান-পতনে ভরা। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে উভয়ই সিরিয়া ইস্যুতে একমত হয়েছেন, যা অতীতে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সবচেয়ে বড় টানাপোড়েনের কারণ ছিল। এখন যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক উভয়ই দৃঢ়ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ