নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের পাকিস্তান–বাংলাদেশ ম্যাচে মন্তব্য করতে গিয়ে বড় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন পাকিস্তান নারী দলের সাবেক অধিনায়ক সানা মীর। ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে তিনি এক ব্যাটারকে পরিচয় করিয়ে দেন ‘আজাদ কাশ্মীরের’ বলে। আর তাতেই তিনি পড়ে গেছেন তোপের মুখে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে সানা পাক ব্যাটার নাতালিয়া পারভেজকে পরিচয় করাতে গিয়ে বলেন, ‘নাতালিয়া যে আজাদ কাশ্মীর থেকে উঠে এসেছে, সে লাহোরে অনেক ক্রিকেট খেলেছে। সে লাহোরে এসেছে অনেক ক্রিকেট খেলে।’ তার এই মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। অনেকেই এটিকে রাজনৈতিক রং দেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিষয়টার গভীরতা ইতোমধ্যেই টের পেয়েছেন পাক তারকা। সানা মীর নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘যেভাবে বিষয়টা অতিরঞ্জিত করে খেলার মানুষজনকে অহেতুক চাপে ফেলা হলো, তা দুর্ভাগ্যজনক। জনসাধারণের কাছে এর একটা ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে, বিষয়টা দুঃখের। পাকিস্তানের ওই ক্রিকেটারের জন্মস্থানকে নিয়ে আমার মন্তব্যের কারণ ছিল তার চ্যালেঞ্জগুলোকে তুলে ধরা, তার অবিশ্বাস্য যাত্রাটাকে মহিমান্বিত করা।’
তিনি আরও যোগ করেন যে, এটা ধারাভাষ্যকারদের কাজেরই অংশ। তিনি বলেন, ‘ধারাভাষ্যকার হিসেবে আমরা যে গল্পগুলো বলি, এই খেলোয়াড়রা কোথা থেকে উঠে এসেছেন, এসব বলাটা তারই অংশ। আমি আজ সে তো বটেই, আরও দুই ক্রিকেটার যারা অন্য অঞ্চল থেকে উঠে এসেছেন, তাদের নিয়েও বলেছি। তো দয়া করে আপনারা একে রাজনীতির রঙ দেবেন না। বৈশ্বিক ধারাভাষ্যকার হিসেবে আমাদের মনোযোগ স্রেফ খেলাতেই থাকে, সেখানে দল, খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণাদায়ী গল্পগুলো বলি আমরা। আমার হৃদয়ে কোনো কারো প্রতি শত্রুতা নেই, কাউকে ব্যথিত করার ইচ্ছাও আমার নেই।’
৩৯ বছর বয়সী সানা মীর নাতালিয়ার প্রোফাইলের একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, খেলোয়াড়দের নিয়ে ধারাভাষ্যের আগে তিনি গবেষণা করেন এবং সেখান থেকেই নাতালিয়া পারভেজের তথ্য নিয়েছিলেন।
সানা মীর জোর দিয়ে বলেছেন, তার মন্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল শুধুই নাতালিয়ার বেড়ে ওঠার সংগ্রামের গল্প তুলে ধরা, রাজনৈতিক কোনো অভিপ্রায় নয়। তবে এরপরও অবশ্য বিতর্কের আগুনে পানি পড়ছে না কোনোভাবেই।