রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি ও দলীয় স্বজনপ্রীতির কারণে নেপাল এক গভীর সংকটে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির রাজনীতি বিশ্লেষক রাজেন্দ্র বাজগাইন।
তার মতে, ফেডারেল কাঠামো জনগণের কাছে জবাবদিহিতা পৌঁছে দেওয়ার বদলে দুর্নীতির কারখানায় রূপ নিয়েছে। স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা—সবখানেই দলীয়করণ এবং ঘুষের সংস্কৃতি দৃশ্যমান।
এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে নেপালের সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ান টাইমস।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, পোখরা ও লুম্বিনী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হাজার কোটি রুপির প্রকল্প হলেও এখন অব্যবহারযোগ্য বোঝায় পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ, শিল্প ও শ্রম মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন খাতে নীতিনির্ধারণী দুর্নীতির কারণে দেশ উন্নয়নশীল থেকে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে।
রাজেন্দ্র বাজগাইন সতর্ক করে বলেন, শুধু সরাসরি নির্বাহী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করলে সমস্যার সমাধান হবে না। কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া ফেডারেল ব্যবস্থা অরাজকতায় এবং সরাসরি নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী একনায়কতন্ত্রে পরিণত হতে পারে।
তিনি প্রস্তাব করেন, স্থানীয় সরকার কাঠামো অন্তত ৬০ শতাংশ কমানো, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে জন-নিজি অংশীদারিত্বে রূপান্তর, আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখা, দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা এবং সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ার মতো সুস্পষ্ট উন্নয়ন রূপরেখা গ্রহণ করা জরুরি।
‘এখন আর প্রসাধনী রাজনীতি নয়, নেপালের দরকার সাহসী নেতৃত্ব,’ মন্তব্য করেন তিনি। তরুণ প্রজন্ম, উদ্যোক্তা ও প্রবাসীদের সম্মিলিত উদ্যোগেই দেশ পুনর্জাগরণের পথে এগোতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন বাজগাইন।