চলতি বছর চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী মেরি ব্রাঙ্কো ও ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের শিমন সাগাগুচি।
বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট।
পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স নিয়ে গবেষণার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এটি রোগ-প্রতিরোধ বা ইমিউন সিস্টেমের একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে শরীরের নিজস্ব উপাদান (self-antigens) এবং ক্ষতিকারক নয় এমন বহিরাগত উপাদান (যেমন: কিছু খাদ্য উপাদান, উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া) এর বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত বা অতিরিক্ত প্রতিরোধমূলক প্রতিক্রিয়া (immune response) সৃষ্টি হওয়া রোধ করা হয়।
মানুষের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেমকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত হতে হবে, যদি তা না হয় তবে রোগ আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রমণ করবে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হাজার হাজার অণুজীব থেকে আমাদের রক্ষা করে। এসব অণুজীব আমাদের শরীরে আক্রমণের চেষ্টা করে। এই অণুজীবগুলোর চেহারা ভিন্ন হলেও ছদ্মবেশে তারা মানুষের কোষের সাথে মিল রেখে আলাদা বৈশিষ্ট্য তৈরি করে। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন তৈরি হয়, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কীভাবে নির্ধারণ করে যে এটিকে কী আক্রমণ করতে হবে বা কী রক্ষা করতে হবে?
মেরি ব্রুনকো, ফ্রেড রামসডেল এবং শিমোন সাকাগুচি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ‘নিরাপত্তা প্রহরী’ হিসেকে কাজ করা রেগুলেটরি কোষগুলোকে চিহ্নিত করেছেন, যা ইমিউন কোষকে আমাদের শরীরের আক্রমণ করা থেকে বিরত রাখে।
এ বিষয়ে নোবেল কমিটির চেয়ার ওলে ক্যামপো বলেন, ‘তাদের এই আবিষ্কারগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কার্যকারিতা এবং কেন আমাদের সবার মারাত্মক অটোইমিউন রোগ হয় না, তা বোঝানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীরা পাবেন একটি মেডেল, একটি সনদপত্র এবং মোট ১১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। যেসব বিভাগে একাধিক নোবেলজয়ী থাকবেন, তাদের মধ্যে এই ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা ভাগ হয়ে যাবে। বর্তমান বাজারে এর মান প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা।