শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২৯ অপরাহ্ন

ট্রাম্পের ‘গাজা পরিকল্পনা’ কেন ব্যর্থ হবে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৫ প্রদর্শন করেছেন

অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে টানা দুই বছরের ইসরাইলি আগ্রাসন থেকে মুক্তি পাচ্ছে গাজাবাসী। এখন আলোচনা হচ্ছে- ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবে দ্বি-স্তরভিত্তিক শাসনব্যবস্থা নিয়ে। যেখানে বলা হয়েছে- দৈনন্দিন বিষয়গুলো ফিলিস্তিনি কমিটি দেখভাল করলেও, অর্থনীতি আর প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ‘বোর্ড অব পিস’। যার নেতৃত্বে থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।

তবে এক যৌথ বিবৃতিতে গাজায় বিদেশি শাসন মেনে না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাসসহ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলো।

এমতাবয়স্থায় প্রশ্ন উঠছে, ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা কি আদৌ সফল হবে, নাকি ব্যর্থ হবে? আর ব্যর্থ হলেই কেন ব্যর্থ হবে?

জনমনে ফুঁসে ওঠা এই প্রশ্নগুলোর উত্তরসহ ব্যখ্যা দিতে গিয়ে বিশ্বের কয়েকজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উদ্ধৃতি তুলে ধরেছেন পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক সাংবাদিক ইজাজ হায়দার।

রোববার (১২ অক্টোবর) ডনে প্রকাশিত এক লেখনীতে তিনি ওই উদ্ধৃতিসহ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। উদ্ধৃতিগুলো হলো-

সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট  মাইক পেন্স বলেছেন, ‘আমেরিকার সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক ভুলগুলোর একটি ছিল নিজেদের ‘নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী’ বলে দাবি করা… প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা বুঝেছিলেন তা হলো—দুনিয়া যদি আর কিছু না-ও জানে, এটুকু জানুক যে আমেরিকা ইসরাইলের পাশে আছে।’

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় বলেছিলেন, ‘গত কয়েক দশকে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব একের পর এক সুযোগ হারিয়েছে… এখন সময় এসেছে তারা প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করে আলোচনায় বসুক—না হলে চুপ থাকুক এবং অভিযোগ করা বন্ধ করুক।’

বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শেখ আবদুল্লাহ বিন আহমেদ আল খলিফা বলেছেন, ‘বাহরাইন ও ইসরাইলের মধ্যে গোয়েন্দা সহযোগিতা চলছে। মোসাদ বাহরাইনে আছে এবং তারা এই অঞ্চলে সক্রিয় থাকবে…।’

এছাড়া ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ‘ইসরাইলকে জর্ডান নদীর পশ্চিমের (গাজাসহ পশ্চিম তীর) সব ভূখণ্ডে নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। এটি ফিলিস্তিনি সার্বভৌমত্বের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক—কিন্তু বাস্তবতা এটাই।’

এই উদ্ধৃতিগুলো থেকেই বোঝা যায় বিশ্বপরিস্থিতি কেমন এবং ইসরাইল ও তার মিত্র আমেরিকা আসলে কী চায়।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তথাকথিত ‘গাজা শান্তি পরিকল্পনা’ নিয়ে কায়রোতে আলোচনা চলছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি লোহিত সাগর তীরবর্তী পর্যটন নগরী শারম আল-শেখে ২০টিরও বেশি দেশের অংশগ্রহণে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের নেতৃত্ব দেবেন বলে জানিয়েছে মিশরীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই বৈঠকের লক্ষ্য হবে ‘গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের অবসান, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জোরদার করা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতার নতুন যুগের সূচনা করা।’

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উপস্থিত থাকবেন কি না, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, তারা সম্মেলনে অংশ নেবে না, কারণ আলোচনার পুরো প্রক্রিয়ায় তারা ‘মূলত কাতারি ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে’ অংশ নিয়েছে।

যাইহোক ট্রাম্পের ওই পরিকল্পনার ২০ দফাকে দুটি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়:

একটি—একটি স্বাধীন নথি হিসেবে; অন্যটি—ফিলিস্তিনে দীর্ঘদিনের উপনিবেশিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিচার্য হিসেবে।

এখানে উভয় দিক নিয়েই আলোচনাটি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কারণ ইতিহাসের সেই মৌলিক কারণগুলো না বোঝা গেলে ট্রাম্পের উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত স্থিতিশীলতার বদলে আরও অস্থিতিশীলতা ডেকে আনবে—এবং এটি হবে নতুন কিছু নয়।

তার আগের মেয়াদে হওয়া আব্রাহাম চুক্তি, যাকে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সাফল্য বলে দাবি করা হয়েছিল। এটি প্রকৃতপক্ষে দখলদার ইসরাইলি সহিংসতা বৃদ্ধি করেছে। আর এর ফলেই মূলত হামাসের ৭ অক্টোবরের আক্রমণের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছে।

এটি কোনো শান্তি পরিকল্পনা নয়

প্রথমেই স্পষ্ট করে বলা দরকার যে—এটি কোনো শান্তি পরিকল্পনা নয়। বরং এটি কিছু দিকনির্দেশনার মতো একটি কাঠামো, যার প্রধান উদ্দেশ্য হলো— তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি।

গাজার ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের প্রেক্ষিতে এটি আপাতদৃষ্টিতে যৌক্তিক মনে হলেও, এর মাধ্যমে স্থায়ী শান্তির আশা করা অবাস্তব।

বরং এই পরিকল্পনা দখলদারিত্বকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়, ফিলিস্তিনিদের সার্বভৌমত্ব মুছে দেয়, বর্ণবৈষম্যকে বৈধতা দেয় এবং গণহত্যাকে কূটনীতির মোড়কে বৈধ করার প্রচেষ্টা চালায়।

পরিকল্পনার কাঠামোগত ফাঁকফোকর

‘শান্তি পরিকল্পনা’ নামে প্রকাশিত এই দলিল আশ্চর্যজনকভাবে অস্পষ্ট ও অসম্পূর্ণ।কোন কর্তৃপক্ষ কীভাবে ও কখন কোন ধাপ বাস্তবায়ন করবে—এর কোনো সুস্পষ্ট সময়সীমা নেই।

‘বোর্ড অব পিস’ নামের যে কর্তৃপক্ষের কথা বলা হয়েছে, সেটি ট্রাম্পের নেতৃত্বে চলবে কি? নাকি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে?

জাতিসংঘ তো গাজায় ইসরাইলি হামলাকে গণহত্যা ঘোষণা করেছে—যা ট্রাম্প প্রশাসন কখনোই স্বীকার করেনি।

তাহলে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী (আইএসএফ) কাকে রিপোর্ট করবে—ট্রাম্পকে নাকি জাতিসংঘকে?

এটি শুধুই প্রশাসনিক প্রশ্ন নয়, বরং ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ সম্পর্কিত মৌলিক ইস্যু।

এই দলিলের ভাষাগত অস্পষ্টতা এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে ইসরাইল একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে, যুদ্ধবিরতির শর্ত পূরণ হয়েছে কি না। ফলে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো বা বাতিল করা তাদের একার হাতে থাকবে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো— গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের পরিবর্তে দলিলে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী সেখানে দীর্ঘমেয়াদে নিরাপত্তা বজায় রাখবে—অর্থাৎ এক দখলদারিত্বের পরিবর্তে আরেক দখলদারিত্ব।

এমনকি গালফ দেশগুলোকে এই বাহিনীর অর্থায়নের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে—যা ইসরাইলকে পরোক্ষভাবে দায়মুক্ত করবে। যদিও বাস্তবে গাজার নিয়ন্ত্রণ ইসরাইলই ধরে রাখবে।

অমীমাংসিত প্রশ্নগুলো

দলিলে রাফাহ সীমান্ত ও ফিলাডেলফি করিডোর নিয়ন্ত্রণের বিষয়েও ইসরাইলকেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ গাজার প্রবেশদ্বারের নিয়ন্ত্রণ এখনো তাদের হাতে থাকবে।

‘আন্তধর্মীয় সংলাপ’ নামের যে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, সেটিও অস্পষ্ট—কে পরিচালনা করবে, কোন মানদণ্ডে মনোভাব পরিবর্তনের অগ্রগতি মাপা হবে, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই।

গাজার পুনর্গঠন প্রসঙ্গে জাতিসংঘ বলেছে—যদি দৈনিক ১০০টি ট্রাক কাজ করে, তবুও শুধু ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে ১৫ বছর লাগবে।

ইতিহাস ভুলভাবে বোঝার ফল

ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো, তিনি ইতিহাসকে উল্টোভাবে পড়েছেন। তিনি বোঝেননি যে, ইসরাইলি প্রকল্পের মূল লক্ষ্যই হলো ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ ও নির্মূল করা।

তিনি যদি ইতিহাস সঠিকভাবে বুঝতেন, তাহলে এই পরিকল্পনা এমন এক কাঠামোয় দাঁড়াত না, যা একদিকে গাজার মানুষকে বন্দি রাখে, আরেকদিকে ইসরাইলকে নির্দোষ প্রমাণ করে।

ট্রাম্পের আগের মেয়াদের শিক্ষা

২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার আগেই ট্রাম্প ইসরাইলের প্রতি অগাধ সমর্থন ঘোষণা করেছিলেন।ক্ষমতায় এসে তিনি তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে—ডেভিড ফ্রিডম্যান, জেসন গ্রিনব্লাট ও জামাতা জ্যারেড কুশনার—মধ্যপ্রাচ্য নীতি পরিচালনার দায়িত্ব দেন।

এই তিনজনই ছিলেন কট্টর জায়নিস্ট, যারা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন।

এই দলের হাত ধরেই আসে তথাকথিত আব্রাহাম চুক্তি, যার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন প্রকাশ্যে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে।

ফিলিস্তিনিদের বাদ দিয়ে আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের চুক্তিকে ট্রাম্প প্রশাসন ‘শান্তি’ বলে প্রচার করে—কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল দখলদারিত্বের বৈধতা দেওয়া।

অতীতের ফল আজকের যুদ্ধ

২০২০ সালের তথাকথিত ‘Peace to Prosperity’ পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের জন্য ছিল মরুভূমির অনুর্বর ভূমি—বিনিময়ে ইসরাইলের জন্য স্থায়ী দখল ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা।

এটি ব্যর্থ হয়, কারণ ইসরাইল কোনোভাবেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে মেনে নিতে চায় না।

২০২৪ সালে তাদের পার্লামেন্ট ৬৮–৯ ভোটে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ধারণাকে ‘অস্তিত্বের জন্য হুমকি’ বলে ঘোষণা করে।

আর এভাবেই ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের পরিকল্পনাই ২০২৩ সালের অক্টোবরের গাজা সংকটের ভিত্তি তৈরি করে।

বর্তমান পরিস্থিতি

২০২৫ সালের অক্টোবরে কায়রোতে নতুন আলোচনায় হামাস বন্দি বিনিময় ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির শর্তে আংশিকভাবে রাজি হয়েছে। তবে ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার অন্যান্য অংশ প্রত্যাখ্যান করেছে।

হামাস ঘোষণা করেছে, গাজার প্রশাসন একটি ফিলিস্তিনি ঐকমত্যভিত্তিক স্বাধীন প্রযুক্তিবিদ সরকার চালাবে, পশ্চিমা তত্ত্বাবধান নয়।

তারা নিরস্ত্রীকরণের প্রশ্নে নিরব থেকেছে—ইঙ্গিত দিয়েছে, এটি হবে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর, কোনো বাইরের চাপে তার আগে নয়।

অন্যদিকে নেতানিয়াহু এই প্রক্রিয়াকে নিজের রাজনৈতিক বেঁচে থাকার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছেন—যেহেতু জনমত জরিপে তার জনপ্রিয়তা তলানিতে।

কেন এই পরিকল্পনা টিকবে না

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে, কারণ এটি—

  • ইতিহাসবিহীন ও বাস্তবতাবর্জিত;
  • যুদ্ধের প্রকৃতি ও সামাজিক মনোভাব না বুঝতে পারা;
  • ইসরাইলি সমাজ যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে প্রচলিত জনমত উপেক্ষা করে;
  • ইসরাইলি সংসদ ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছে;
  • ইসরাইলের উদ্দেশ্য শান্তি নয়, বরং গাজাকে জাতিগতভাবে নির্মূল করা।

অর্থাৎ গাজায় যা চলছে, তা গণহত্যা এবং এর ভেতরে কোনো ‘আশার আলো’ নেই—যেমনটি বিশ্লেষক নরম্যান ফিঙ্কেলস্টেইন বলেছেন, ‘There is no silver lining in a genocide.’

পরিশেষে বলা যায়, এই পরিকল্পনা কেবল এক ক্ষণস্থায়ী বিরতি আনতে পারে মাত্র, তবে স্থায়ী শান্তির কোনো বাস্তব সম্ভাবনা নেই।

অর্থাৎ যতদিন আরব রাষ্ট্রগুলো নিজেদের নিরাপত্তা ও শাসন টিকিয়ে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের ওপর নির্ভরশীল থাকবে, ততদিন ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়বিচার অসম্ভব।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ