সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন

ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৮ প্রদর্শন করেছেন

ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জুলাই যোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা।

রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকে কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই শ্রমিক নেতাদের নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।  নগরীর মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, ইউনাইটেড ও সৌখিন পরিবহনের অন্তত ৩০০টি বাস টার্মিনালেই দাঁড়িয়ে আছে। এতে অফিসগামী থেকে শুরু করে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হওয়া যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।

পরিবহন শ্রমিকরা জানান, শ্রমিক নেতাদের নির্দেশে সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে চলাচলকারী ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর ও কিশোরগঞ্জগামী সব দূরপাল্লার বাস বন্ধ রয়েছে।

যাত্রীরা বলেন, আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা জরুরি। সকাল ৮টার পর কিছু বাস টার্মিনাল শ্রমিকরা কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দাবিতে অনশন ধর্মঘটের ডাক দেন এবং সব সমস্যার সমাধান করে রাজনীতিমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থার দাবি জানান।

ঢাকাগামী যাত্রী আবু বলেন, ‘গতকাল থেকে ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু আন্দোলনের কারণে যেতে পারছি না। হুটহাট করে এমন বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা চাই, অন্তত বাসস্ট্যান্ড রাজনীতি মুক্ত থাকুক।’

ইউনাইটেড পরিবহনের চালকের সহকারী সোহেল রানা বলেন, ‘বাস বন্ধ থাকলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়। তবে এবার বাস বন্ধের যৌক্তিক কারণ রয়েছে। একটি ঘটনায় শ্রমিক অরুণ জেলে রয়েছে। এরপরও ১৬টি বাস বন্ধের পাশাপাশি জব্দ করার দাবি মানার মতো নয়। কারণ এসব বাসের সঙ্গে শ্রমিকদের রিজিক জড়িত।’

হেনস্তার শিকার আবু রায়হান বলেন, ‘প্রশাসন ও শ্রমিক নেতারা আমাদের দাবি মেনে নেওয়ায় যাত্রী দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা গতকাল কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। আমরা চাই, মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডে ফ্যাসিস্টের কোনো স্মৃতি চিহ্ন না থাকুক। তবে দাবি মেনে নেওয়ার পরও শুনেছি ইউনাইটেড ও সৌখিন পরিবহনের কোনো বাস ছাড়ছে না। যাত্রী দুর্ভোগ চললে আবারও আন্দোলনে নামব।’

ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম বলেন, ‘এনসিপির কয়েকজনকে সামনে রেখে একটি পক্ষ বিষয়টি বড় করছে। তারা অনৈতিক সুবিধা নিতে প্রায়ই এমন ঝামেলা সৃষ্টি করে। গতকাল জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীমের সভাপতিত্বে ১৬টি বাস বন্ধের পাশাপাশি একটি মনিটরিং টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এতে বাস চলাচল শুরুর কথা থাকলেও ঢাকার নেতৃবৃন্দ তা মানতে নারাজ। ফলে ইউনাইটেড ও সৌখিন পরিবহনের চলাচল বন্ধ থাকে। আজ সকাল থেকে বিভাগের চার জেলা ও ঢাকাগামী কিশোরগঞ্জের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাদের দাবি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও শ্রমিক অরুণের মুক্তি।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ