চীনের বিরল খনিজ রফতানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ করেছে বেইজিং। দেশটি মতে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের মন্তব্য ছিল একেবারে বিকৃত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। যা দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনায় অস্থিরতা তৈরি করছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হে ইয়ংচিয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের পদক্ষেপগুলোকে বিকৃতভাবে ব্যাখ্যা করছে এবং অপ্রয়োজনীয় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আমাদের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উদ্দেশ্য একমাত্র বেসামরিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, রফতানি লাইসেন্সের আবেদন যদি আইনানুগ ও বেসামরিক উদ্দেশ্যে হয়, তবে তা অনুমোদন করা হবে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার চীনের নতুন পদক্ষেপকে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা বলে বর্ণনা করেন। এদিকে, অর্থমন্ত্রী বেসেন্ট ইঙ্গিত দেন যে, ৯ নভেম্বর শেষ হওয়া ৯০ দিনের বাণিজ্যবিরতির মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।
চীনের সরকারি পত্রিকা পিপলস ডেইলি বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার জবাবে সাত দফা ব্যাখ্যা প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অপব্যবহার করছে এবং চীনের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করছে।
সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় রয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি পণ্য, যেখানে চীনের তালিকায় মাত্র ৯০০টি।
চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেইজিংয়ের নতুন লাইসেন্স ব্যবস্থা কোনও দেশের প্রস্তুতকারকের ওপর বাধ্যতামূলক নয়। এটি আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তবে ওয়াশিংটনের দাবি, চীনের এ পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের বিরল খনিজ পদক্ষেপের প্রতিশোধমূলক প্রতিক্রিয়া। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেছেন।
মুখপাত্র হে ইয়ংচিয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই মন্তব্য সম্পূর্ণরূপে বিকৃত। চীন সর্বদা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চায়।
চীন জানিয়েছে, আগের আলোচনাগুলোর ইতিবাচক ফলাফলকে যুক্তরাষ্ট্র যেন মূল্য দেয় এবং অবিলম্বে তার ভুল পদক্ষেপ সংশোধন করে।