সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০১ পূর্বাহ্ন

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল, আটকে রেখেছে ৭৫ শতাংশ ত্রাণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১ প্রদর্শন করেছেন

‘কথিত যুদ্ধবিরতি’র মধ্যেই উত্তর ও দক্ষিণ গাজাজুড়ে বিমান হামলা ও গুলিবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলের বর্বর সেনাবাহিনী। দখলদার বাহিনীর এই বর্বর আগ্রাসনে একের পর এক ঘরবাড়ি ধ্বংস ও হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশের কথা ছিল তার মাত্র এক-চতুর্থাংশ ঢুকতে দিচ্ছে দখলদার বাহিনী, আটকে রেখেছে ৭৫ শতাংশই।

বার্তা সংস্থা মেহেরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার ইসরাইলি আর্টিলারি দক্ষিণ গাজার পূর্ব খান ইউনিস এলাকায় গোলাবর্ষণ করে। একই সময়ে ইসরাইলি সেনারা উত্তর গাজার পূর্ব জাবালিয়া ও খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলের আরও কয়েকটি স্থানে গুলিবর্ষণ চালায়।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, পূর্ব খান ইউনিসে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ধ্বংসের ফলে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

ইসরাইল স্থল, আকাশ ও নৌবাহিনীর হামলা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করার পরও প্রায় প্রতিদিনই হামলা চালাচ্ছে গাজায়।  ফলে এই যুদ্ধবিরতি আদৌ যুদ্ধবিরতি কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

এর আগে এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আট শতাধিক  ফিলিস্তিনি নিহত বা আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় প্রতিশ্রুত ত্রাণের মাত্র এক-চতুর্থাংশ ঢুকতে দিচ্ছে ইসরাইল। অর্থাৎ মোট ত্রাণের ৭৫ শতাংশই আটকে রেখেছে দেশটি।

শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর জানায়, ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩ হাজার ২০৩টি বাণিজ্যিক ও ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১৪৫টি ট্রাক প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। যা যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে নির্ধারিত দৈনিক ৬০০ ট্রাকের মাত্র ২৪ শতাংশ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলি দখলদার বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণ ও বাণিজ্যিক পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে বাধা দিচ্ছে। এর ফলে ২৪ লাখেরও বেশি মানুষের মানবিক সংকট ভয়াবহভাবে বেড়েছে। আর এর দায় সম্পূর্ণ ইসরাইলের।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ