শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন

ফিট ও স্লিম থাকার গোপন রহস্য জানালেন বিদ্যা বালান

বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৪ প্রদর্শন করেছেন

অন্যদের চেয়ে যে কারণে বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান একটু আলাদা। বিশেষ করে চেহারার নিরিখে। তার ক্যারিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে তার চেহারা খানিক রোগা ছিল, কিন্তু পরের দিকে ওজন ধীরে ধীরে বেড়ে গেছে। আবার সম্প্রতি ওজন কমিয়েছে।

বিদ্যা বালান কোনো দিনই তার ভারি চেহারা নিয়ে হতাশার কথা বলেননি। কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে তিনি ওই চেহারার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তা দীর্ঘদিন পর জানা গেল। সম্প্রতি এক পডকাস্টে অভিনেত্রী বলেছেন, সেই লড়াইয়ের কথা এবং লড়াই শেষের স্বস্তির গল্পও। হাজার শরীরচর্চা করেও যা হয়নি, তা একদিন খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস বদলের ফলে হয়ে গেছে।

বিদ্যা বালানকে গত এক বছরে বেশ ঝরঝরে দেখা যায়। ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ সিনেমায় মাধুরীর সঙ্গে নাচের দৃশ্যে তার নব অবতার দেখে চমকে গিয়েছিলেন তার ভক্তরা-অনুরাগীরা। এরপর থেকে অভিনেত্রী নানা সাজে চমক দিয়েই চলেছেন বলিউডপ্রেমীদের মাঝে। রোগা হওয়ার পর নানা রকম পোশাক ও লুক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলেছেন।

এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল— কী করে এমন রোগা হলেন? এর উত্তরে বিদ্যা বালান বলেন, বিশ্বাস করুন, গত এক বছরে আমি শরীরচর্চা সেভাবে করিইনি। তবে এক বিশেষ ধরনের ডায়েট মেনে চলেছি।

অভিনেত্রী বলেন, একটি যাপন সংস্থার সদস্য হিসাবে তাদের বিভিন্ন কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই জানতে পারেন— তার মোটা হওয়ার নেপথ্য কারণ। তিনি বলেন, আমার ওজন বৃদ্ধির কারণ ছিল ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহ। ওরাই আমাকে সেটি বলেন। আর স্থূলত্ব আসতে পারে প্রদাহের সমস্যা থেকেও। সে ক্ষেত্রে শরীরচর্চা করেও কাজ হবে না।

বিদ্যা বালান বলেন, ওই সংস্থার তরফেই অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি ডায়েট চার্ট তৈরি করে দেওয়া হয়। তার এখনকার চেহারা ওই ডায়েটেরই ফল। তিনি বলেন, বিশ্বাস করুন ক্যারিয়ারের শুরুর দিন থেকে আমি যুদ্ধ করে আসছি, আমার ওজনের সঙ্গে। এই হয়তো কড়া ডায়েট করে, প্রচুর পরিশ্রম করে এবং শরীরচর্চা করে রোগা হলাম।

অভিনেত্রী বলেন, আর যেই একটু রাশ আলগা হলো, দেখলাম মোটা হতে শুরু করেছি। কিন্তু সেটি তো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এত তাড়াতাড়ি মেদ শরীরে ফিরে আসতে পারে না। শেষে ওই অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি ডায়েট করে আমার ওজন ঝরল। আর বিশ্বাস করুন, গত এক বছর আমি সে রকম কঠোর কোনো শরীরচর্চাই করিনি।

অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি ডায়েট আসলে কী? এ প্রশ্নের উত্তর জানার আগে জানতে হবে ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহ কী? প্রদাহ হলো একটি শারীরিক বিক্রিয়া, যা শরীরের জন্য যেমন জরুরি, তেমনই অতিমাত্রায় হলে শরীরের নানা ক্ষতিও হতে পারে।

এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ গুঞ্জন তানেজা খানিক ব্যাখ্যা করে বলেছেন, রোগের সঙ্গে লড়াই করার যে ক্ষমতা, তার জন্য প্রদাহ জরুরি। আবার সেই প্রদাহই যখন বেড়ে যায়, তখন তা ক্যানসারের মতো জটিল অসুখেরও কারণ হতে পারে। তাই প্রদাহকে নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। আর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি ডায়েট সেই কাজটিই করে থাকে।

আর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি ডায়েটে সেসব খাবার সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া হয়, যা প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন প্রক্রিয়াজাত খাবার, ময়দা-চিনির মতো অতি পরিশোধিত খাবার ইত্যাদি। তার বদলে রাখা হয় সেসব খাবার যা প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। যেমন তাজা ফলমূল, শাকসবজি, ডাল, মাছ, বাদাম, দই, ছানা, ওটস, ব্রাউন রাইস ইত্যাদি। এ ছাড়া রান্নাঘরে থাকা বেশ কিছু মসলা, যেমন— হলুদ, আদা, রসুনও কমাতে পারে প্রদাহ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ