যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন সচিব শন ডাফি জানিয়েছেন, ফেডারেল সরকারের অচলাবস্থা (শাটডাউন) চলতে থাকলে আগামী শুক্রবার থেকে দেশের ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরে ১০ শতাংশ ফ্লাইট কমানো হবে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
চলমান শাটডাউন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী। এর আগে সর্বোচ্চ ৩৫ দিন ছিল তবে এবার ৩৬ দিনে গড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার এবং ৫০ হাজার ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএসএ) কর্মী বিনা বেতনে কাজ করছেন। ফলে কর্মীসংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, বিমান চলাচলে দেরি হচ্ছে এবং নিরাপত্তা তল্লাশিতে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়েছে।
সরকার ৪০টি বিমানবন্দরের নাম প্রকাশ না করলেও, পরিকল্পনাটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ৩০টি ব্যস্ততম বিমানবন্দর—যেমন নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, আটলান্টা, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ডালাসে কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্তে দৈনিক প্রায় ১,৮০০ ফ্লাইট ও ২ লাখ ৬৮ হাজার আসন কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বিমান চলাচল বিশ্লেষণ সংস্থা সিরিয়াম।
ডাফি বলেন, এ পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের ওপর চাপ কমানো।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, শুক্রবারের পরও যদি সংকট বাড়ে, তাহলে আরও কঠোর ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
‘এয়ারলাইনস ফর আমেরিকা’ নামের বাণিজ্যিক সংগঠন জানিয়েছে, তারা সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন সিদ্ধান্তের সব দিক বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছে এবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে প্রভাব কমাতে সচেষ্ট থাকবে।
শিল্পখাতের সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় এফএএ বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে ফ্লাইট কমানোর প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করবে।
শিল্প সংগঠনগুলোর হিসাব অনুযায়ী, সরকারি শাটডাউনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩২ লাখ যাত্রী ফ্লাইট বিলম্ব বা বাতিলের শিকার হয়েছেন।
এয়ারলাইনগুলো জানিয়েছে, আপাতত ব্যবসায়িক ক্ষতি তেমন না হলেও অচলাবস্থা দীর্ঘ হলে বুকিং কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। বুধবার একদিনেই ২,১০০টিরও বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে।
ডাফি আরও জানান, বিমান চলাচলের পাশাপাশি মহাকাশ উৎক্ষেপণ কার্যক্রমও সীমিত রাখা হবে।