থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ও ফুকেটে চলছে মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর। বিশ্বের কোটি মানুষ কৌতূহল নিয়ে অপেক্ষা করছেন সেই মুহূর্তের জন্য, যখন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ তানজিয়া জামান মিথিলা জাতীয় মর্যাদা নিয়ে মঞ্চে উজ্জ্বল হবেন। তবে মঞ্চে আলোচনায় থাকা কেবলই শুরু। আসল রোমাঞ্চ শুরু হয়, যখন বিজয়ীর জীবনে এক বছরের জন্য প্রবেশ করে ‘স্বপ্নের জীবন’।
নগদ টাকা
মঞ্চে বিজয়ী হওয়ার পর প্রথম উপহার হিসেবে আসে নগদ আড়াই লাখ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা ৩ কোটিরও বেশি। এক কথায়, এক বছরের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা এবং স্বপ্ন পূরণের শক্তি।
বিলাসবহুল নিউইয়র্ক অ্যাপার্টমেন্ট
মিস ইউনিভার্সের বিজয়ী এক বছরের জন্য নিউইয়র্ক সিটির একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকবেন। শুধু থাকাই নয়, এখানে প্রতিটি বিস্তারিত—অফিস, জীবনযাপন, মিডিয়া আয়োজন—সবই মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে।
ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ
সবচেয়ে রোমাঞ্চকর হলো ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ। এই উড়োজাহাজে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে ভ্রমণ করা যায়। হোটেল বুকিং, খাওয়া, ফটোশুট, প্রেস মিট—সবই আগে থেকে মিস ইউনিভার্সের পক্ষ থেকে নিশ্চিত। তবে শর্ত আছে, প্রতিটি সফরে অবশ্যই কিছু দাতব্য কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
চমকপ্রদ মুকুট ‘ফোর্স অব গুড’
বিজয়ী শুধু আর্থিক সুবিধা বা বিলাসবহুল জীবনই পান না, একটি মূল্যবান মুকুটও। ২০২৫ সালের মুকুটটির নাম ‘ফোর্স অব গুড’। এতে আছে ১১০ ক্যারেট নীলকান্তমণি এবং ৪৮ ক্যারেট সাদা হীরা, যার মূল্য প্রায় ৫.৭৫ মিলিয়ন ডলার বা ৬৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। তবে এই মুকুটটি স্থায়ী নয়; এক বছর পরে পরের বিজয়ীর হাতে তুলে দিতে হয়। স্থায়ী স্মৃতি হিসেবে একটি রেপ্লিকা মুকুট দেওয়া হয়, যার মূল্যও ১৫–২০ হাজার ডলার।
স্বপ্নের জীবনযাত্রা
এই এক বছরের সময়, মিস ইউনিভার্সের বিজয়ী কোনো রান্না, পোশাক বা ভ্রমণ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। প্রতিটি মুহূর্ত—একটি স্বপ্নের মতো জীবনযাত্রা। ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে ভ্রমণ, বিলাসবহুল আবাসন, মিডিয়া সম্মেলন এবং দাতব্য কাজের এক চমকপ্রদ মিশ্রণ।
মিস ইউনিভার্স হওয়া কেবল মঞ্চে নয়, বরং এক বছরের জন্য স্বপ্নের রাজ্যে প্রবেশের চাবিকাঠি। একটি বছর যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত পরিকল্পিত, সুরক্ষিত, বিলাসবহুল এবং দাতব্য কাজের মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতাপূর্ণ।