মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাস সেঞ্চুরি করেছেন। তবে তাদের বিদায়ের পর টেল এন্ডাররাও কম লড়াই করেনি। শেষ তিন উইকেটে রান এসেছে ৪৩। আর তাতেই প্রথম ইনিংসে ৪৭৬ রান তুলে ইনিংস শেষ করেছে বাংলাদেশ।
মুশফিকের সেঞ্চুরির পর লিটন দাসও তুলে নেন নিজের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। এটি তার মিরপুরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শততম ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচটি সেঞ্চুরি দিয়ে রাঙালেন লিটন। তিনি আগের সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে।
লিটন ও মিরাজ জুটিও দলকে বড় রান দিয়েছে। দুজন মিলে গড়েছেন ১১৪ রানের জুটি। এটি লিটন–মিরাজ জুটির তৃতীয় শতরানের পার্টনারশিপ। তবে মিরাজের ইনিংস থেমেছে ৪৭ রানে। প্রথমে এলবিডব্লিউ দিয়ে বেঁচে যান, পরে ক্যাচ তুলেও রক্ষা পান। এক বল পর তিনি আবারো ক্যাচ দেন এবং কারমাইকেল সেটি নেন।
লিটন এরপর দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ১২৮ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। পাশাপাশি তাইজুল দ্রুত আউট হন ৪ রান করে।
আগের দিন বাংলাদেশ প্রথম দিন শেষ করেছিল ২৯২/৪ স্কোরে। মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৯৯ রানে। দিন শেষে সেঞ্চুরির অপেক্ষা নিয়ে মাঠ ছাড়লেও আজ আবার ফিরে এসে পৌঁছে যান কাঙ্ক্ষিত মাইলফলকে। মুশফিক বিশ্বের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন।
মুশফিক ও লিটনের শতরানের জুটি হলো তাদের সপ্তম। এটি বাংলাদেশের যেকোনো জুটির পক্ষে সর্বোচ্চ।
তবে স্বীকৃত ব্যাটারদের বিদায়ের পর টেল এন্ডাররাও লড়েছেন ভালোভাবেই। হাসান মুরাদ ২২ বলে ১১, এবাদত হোসেন ২৪ বলে ১৮ আর খালেদ আহমেদ করেন ১২ বলে ৮ রান। আর তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় বাংলাদেশ।