একটা টেস্ট ম্যাচে আদর্শ পরিস্থিতিতে দিনপ্রতি খেলা হয় ৯০ ওভার, সেক্ষেত্রে দুই দিনে ১৮০ ওভার হওয়ার কথা। ৫ দিনে সংখ্যাটা দাঁড়াবে ৪৫০ এ।পার্থে অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচটায় বল গড়াল মেরেকেটে ১৪১.১ ওভার, সময়ের হিসেবে বড়জোর দেড় দিন। এর মধ্যেই খেলার ফল বেরিয়ে এল। অস্ট্রেলিয়া হাসল শেষ হাসিটা। ট্র্যাভিস হেডের কল্যাণে অজিরা ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে।
প্রথম ইনিংসে ১৭২ রানে গুটিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে ১৩২ রানে অলআউট করে আজ ৪০ রানের লিড পেয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৪ রান তুলে খানিকটা স্বস্তিতেই যেন ছিল। দেড় দিনেরও কম সময়ে ৩০ উইকেট যাওয়া উইকেটে ২০৫ তো অনেক বড় কিছুই!
কিন্তু অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে সব হিসেব বদলে দিলেন ট্র্যাভিস হেড। ‘বাজবলের’ জনক ইংল্যান্ডকেই নতুন করে শেখালেন ‘বাজবল’, ৬৯ বলে করলেন ঝোড়ো এক সেঞ্চুরি। আর তাতেই তিনি উঠে গেলেন ইতিহাসের পাতায়, অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্যটা হয়ে গেল মামুলি।
হেড শুরুটা বেশ রয়েসয়েই করেছিলেন। শুরুর ১৪ বলে রান তুলেছিলেন মোটে ৩। এরপর এক বাউন্ডারি হাঁকাতেই যেন সব বাঁধ খুলে গেল তার। ৩৬ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি, তখনই তার নামের পাশে তিনটি করে ছয় আর চার।
তবে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের পাতায় ঠিকই উঠে গেছেন তিনি। অজিদের হয়ে সবচেয়ে কম বলে সেঞ্চুরির রেকর্ডটা অ্যাডাম গিলক্রিস্টের, এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, এই পার্থ শহরেই! পার্থের পুরোনো মাঠ ওয়াকায় আরও একটা রেকর্ড গড়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার, ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন ঠিক ৬৯ বলেই। নতুন মাঠ অপটাস স্টেডিয়ামে সে রেকর্ডটা ছুঁয়ে ফেললেন হেড।
শেষমেশ ৮৩ বলে ১২৩ রান করে হেড যখন বিদায় নিচ্ছেন, অস্ট্রেলিয়া তখন জয়ের খুব কাছে। শেষমেশ ৪৯ বলে অপরাজিত ৫১ করে অজিদের জয়ের বন্দরে ভেড়ান মার্নাস লাবুশেন। ৮ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজে এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (২য় দিন শেষে)
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস- ১৭২ (৩২.৫ ওভার); ব্রুক ৫২, পোপ ৪৬; স্টার্ক ৭-৫৮, ডগেট ২-২৭
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস- ১৩২ (৪৫.২ ওভার); ক্যারি ২৬, গ্রিন ২৪; স্টোকস ৫-২৩, ব্রাইডন ৩-৪৫
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস- ১৬৪ (৩৪.৪ ওভার); অ্যাটকিন্সন ৩৭, পোপ ৩৩; বোলান্ড ৪-৩৩, স্টার্ক ৩-৫৫
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস- ২০৫/২ (২৮.২ ওভার); হেড ১২৩, লাবুশেন ৫১*; ব্রাইডন ২-৪৪
ফলাফলঃ অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী