নারী ফুটবল লিগের দলবদলে যেন হ-য-ব-র-ল অবস্থা। দলবদল শুরু হয়েছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি। সময় বাকি আছে আর মাত্র তিন দিন। কিন্তু এখনো কোনো ক্লাব খেলোয়াড় নিবন্ধনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেনি। শীর্ষ ফুটবলার সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, কৃষ্ণা রানী সরকার, মারিয়া মান্দাদের নতুন ঠিকানা কোথায়, সেটাও এখনো অজানা। এবার বসুন্ধরা কিংস না থাকায় গত দুই আসরের রানার্স আপ আতাউর রহমান ভূঁইয়া এসসি ক্লাবকে বড় দল হিসেবে ধরা হয়েছিল। কিন্তু এই দলই কিনা পুরোপুরি দল গোছাতে পারেনি। একই অবস্থা অন্যদেরও।ফলে বাফুফের কাছে দলবদলের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে ক্লাবগুলো। বাফুফেও তাতে রাজি হয়েছে, কত দিন বাড়ানো হবে সেটা জানা যাবে আজ। বাফুফের কম্পিটিশন ম্যানেজার জাবের বিন তাহের এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘ক্লাবগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মৌখিকভাবে দলবদলের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো ক্লাবই দলবদলে অংশ নেয়নি।’ আতাউর রহমান ভূঁইয়া এসসি ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট সোহেল খন্দকারও দল গোছাতে না পারার কথাই বলেছেন, ‘দল আমাদের একা গোছালেই তো হবে না, বেশির ভাগই করেনি। আমরা মোটামুটি ঠিক করেছি দল, কিন্তু পুরোপুরি হয়নি। আমরা তাই দলবদলের সময় ১৫ দিন বাড়ানোর আবেদন করেছি।’ ২০২২ সালে সাফের শিরোপা জেতার পর নারী ফুটবল নিয়ে আশা-প্রত্যাশার পারদ গিয়েছিল বেড়ে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ম্যাচসংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি ঘরোয়া লিগের মান বাড়ানোরও দাবি উঠেছিল। কিন্তু সেই লিগ থেকে সরে গেছে বসুন্ধরা কিংস। বোঝাই যাচ্ছে, অন্য ক্লাবগুলোও খুব বেশি আগ্রহী নয়। তাতে লিগের মান যে নিচের দিকে নামতে যাচ্ছে তা বলাই যায়। এবারের লিগে অংশ নেওয়ার কথা ৯টি দলের। প্রথমবার নিবন্ধন করেছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। কিন্তু সার্ভিসেস দলটির অংশ নেওয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। দলটির ১৪ জন ফুটবলার সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণে গেছে। এখন মাত্র ১৬ জন নিয়ে প্রস্তুতি চলছে বলে জানান দলটির কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, ‘একটু তো অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছেই, যেহেতু অনেকজন নেই। দেখা যাক কী হয়।’ অনেক ঢাকঢোল পিঠিয়ে গত বছর মেয়েদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল লিগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা আর মাঠে গড়ায়নি। এবার নারী লিগও সময়মতো মাঠে গড়ানো নিয়ে জেগেছে শঙ্কা।