ভিন্নধর্মী শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গত বছরের আগস্টে এক জমকালো অনুষ্ঠানে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ নামের একটি প্রজেক্টের ঘোষণা দেয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। যেখানে ১২ জন মেধাবী নির্মাতার ১২টি ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানানোর কথা জানানো হয়। এই পুরো প্রজেক্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জনপ্রিয় পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এই নির্মাতার এই প্রজেক্টে মোট দু’টি ফিল্ম নির্মাণের কথা। এরইমধ্যে তার অভিনীত ও পরিচালিত ‘অটোবায়োগ্রাফি’ সব শ্রেণির মানুষের প্রশংসা পেয়েছে। এবার ঈদে আসতে চলেছে তার দ্বিতীয় নিবেদন! সিনেমাটির ডাকনাম ‘মনোগামী’, আর পুরো নাম ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’। এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, জেফার, সামিনা হোসেন প্রেমাসহ অনেকে। নির্মাতা বলেন, ‘ব্যাচেলর ছবিতে ব্যাচেলর জীবনের কিছু দিক কোনোরকম রাখঢাক ছাড়া দেখাতে পেরেছিলাম। এখানে বিবাহিত এবং প্রবাহিত জীবনের কিছু দিক কোনো সুইট কোটিং ছাড়া দেখানোর সুযোগ পেয়েছি।’ সিনেমার প্রধান চরিত্রের অভিনেতাদের নিয়ে ফারুকী বলেন, ‘চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতা তো বহু পুরোনো। সবসময়ের মতো এ ছবিতেও অপ্রতিরোধ্য তিনি। চরকিতে চঞ্চল চৌধুরীকে দর্শক নানা চরিত্রে নানান লুকে দেখেছেন। তবে মনোগামীতে দেখা মিলবে অন্য এক চঞ্চল চৌধুরীর। এই ধরনের চরিত্র কম করার ফলে একটা দারুণ ফ্রেশনেস উনি নিয়ে এসেছেন তার অভিনয়ে। জেফার রহমানকে আমরা গায়ক হিসাবে চিনি। এখানে তাকে অচেনাই লাগবে। কিন্তু এই চরিত্রে তাকে পাওয়ার ফলে আমার গল্পটা প্রাণবন্ত হয়েছে। প্রেমা নৃত্যশিল্পী, তার অভিনয় করাটাও নতুন বিষয় সবার কাছে।’