চট্টগ্রামের একদল তরুণ মিলে অন্যদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠা করেছে স্বপ্নপূরণ নামে একটি সংস্থা। ২৮ শে মার্চ পাহাড়তলি থানার আশপাশের এলাকাগুলোতে সুবিধা-বঞ্চিতদের মাঝে ইফতার বিতরণ করে স্বপ্নপূরণের যাত্রা শুরু হয়। প্রায় শতাধিক গরিব দুঃখী, দিনমজুরি ও পথশিশুদের ইফতার বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছে স্বপ্নপূরণের সদস্যগণ। স্বপ্নপূরণের প্রতিষ্ঠাতা তাওসিফ রেজা। ছোটবেলা হতেই তাওসিফ সমাজের দুর্দশার চিত্রগুলো দেখে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বুনতে থাকেন। পরিকল্পনা মোতাবেক তার বন্ধুদের নিয়েই এই যাত্রায় পা রাখেন তিনি। স্বপ্নপূরণের সভাপতি’র দায়িত্বে রয়েছেন মুহতাসিম ফুয়াদ, সাধারণ সম্পাদক আদিবুল ইসলাম এছাড়াও উল্লেখ্যযোগ্য সদস্যদের মধ্য রয়েছেন, ইমতিয়াজ হোসেন, সাজ্জাদ ইউসুফ, আদনান আবদুল্লাহ, তাহসিন ইফতি ও শেখ মুহিত। স্বপ্ন পূরণ সংগঠনের সদস্য সাজ্জাদ ইউসুফ বলেন, আমার ছোটবেলা হতে ইচ্ছা, একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করা যেখানে অনাথ শিশু ও বৃদ্ধদের রাখা হবে যেন, এতিম শিশুরা তাদের মা-বাবার অভাব ও বৃদ্ধরা তাদের সন্তানদের অভাব অনুভব না করে”। এই প্রত্যায়কে লক্ষ্যে রেখে সংগঠনের সাথে কার্যক্রম শুরু করেছি, আশা রয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। এসময় প্রতিষ্ঠাতা তাওসিফ রেজা বলেন, “অনেকের অনেক স্বপ্ন থাকতে পারে, তবে আমার স্বপ্ন তাদের স্বপ্নপূরণেই”। অসহায় নিপিড়িত মানুষের জন্য কাজ করতে ভাল লাগা থেকে মানবিক কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। স্বপ্নপূরণ সংগঠন ছিন্নমুল অসহায়দের নিয়ে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যায়ে অঙ্গিকার বন্ধ। স্বপ্নপূরণ সংগঠনের সভাপতি মুহতাসীম ফুয়াদ বলেন, স্বপ্নপূরণকে নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা শুধু জেলা অথবা দেশ ভিত্তিক নয়, বরং সারাবিশ্বের স্বল্প ভাগ্যবানদের স্বপ্নগুলো পূরণ করাই আমাদের স্বপ্ন। ইতোমধ্যে আমরা নানাবিধ সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে সংগঠনের সূচনা করেছি। মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা সমাজের অসহায় ছিন্নমূল ও এতিম মানুষের নিয়ে কাজ করাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। মধ্যে আমাদের বেশ কিছু কার্যক্রমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভিন্ন জেলাতে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। রমজান ও ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, স্বপ্নপূরণ দেশের অন্যতম একটি চ্যারিটি যা কিছু তরুণদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বোর্ড সদস্যদের পরিকল্পনা থেকে জানা যায়, স্বপ্নপূরণ শুধু দেশ ভিত্তিক নয় বরং, এটিকে বিশ্বব্যাপী একটি দানশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চান তারা। তবে প্রথমে নিজ দেশের দুর্দশার অবস্থাগুলো পরিবর্তনেই তাদের প্রতিজ্ঞা। সংগঠনকে দৃঢ় করতে তাদের প্রয়োজন পরিশ্রমী স্বেচ্ছাসেবক তাই রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন বর্তমান সদস্যগণ।