জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার ওই ভাষণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, প্রফেসর ইউনূসের জাতিসংঘের ভাষণ ভালো হয়েছে। কিছু ওয়ান্ডারফুল এলিমেন্ট আছে। কিছু জিনিস তিনি যুক্ত করতে পারতেন, কিছু জিনিস বাদ দিতে পারতেন। আমার জানা মতে উনি স্পিচ রাইটারের সাহায্য নেন না। ওনার বক্তব্য উনি নিজেই লেখেন। অন্তত যে সময়কাল আমি উনার সঙ্গে কাজ করেছি। তাও নিচের এলিমেন্টগুলো তিনি বিবেচনা করলে স্পিচ আরও ভালো হবে।
গ্রেট এলিমেন্টস
১। ফিলিস্তিন নিয়ে অবস্থান। গাজায় গণহত্যা বন্ধের আহ্বান।
২। অটোনোমাস এআই নিয়ে সাবধানবাণী।
৩। বাংলাদেশের লড়াইকে হাসিনার আমলকে রিপ্রেজেন্ট করা। হাসিনা কী কী ক্ষতি করেছে সেটা তালিকা ধরে বলা। এই প্রথম বিপ্লবে সোশ্যাল মিডিয়ার অবদানের কথা বললেন। এজন্য কৃতজ্ঞতা।
যা যুক্ত করা যেত
১। বন্যার কারণ। আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যার কথা।
২। সীমান্ত হত্যার কথা।
৩। হাসিনাকে যে ইন্ডিয়া আশ্রয় দিয়েছে সেটা উল্লেখ করা।
যা বাদ দেওয়া যেত
১। সামাজিক ব্যবসার কথা, থ্রি জিরোর কথা, ক্ষুদ্র ঋণের কথা। এসব এখনও আমাদের রাষ্ট্রের প্রায়োরিটি না। এগুলো ওনার অ্যাজেন্ডা। আমরা সেগুলোকে সাপোর্ট করি কিন্তু ওই প্লাটফর্মে শুধু রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো তোলা উচিত।
২। ফিলিস্তিনের টু স্টেট সলিউশন না বলে শুধু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার কথা বললে বেটার হতো। আমার ঠিক জানা নেই টু স্টেট সলিউশন আমরা অফিসিয়ালি গ্রহণ করেছি কি না। কিন্তু ফিলিস্তিনের লড়াইয়ের বিগেস্ট স্টেকহোল্ডার কিন্তু টু স্টেট সলিউশন মানে না। ইরান মানে না। তাই এই বিষয়টায় স্ট্রেট অবস্থান নেওয়াটা অ্যাভয়েড করা যেতে পারত।
শেষে তিনি লিখেছেন, প্রফেসর ইউনূসকে আরও বেশি প্র্যাকটিসের টাইম দিতে হবে। উনি এখনও টেলিপ্রম্পটার দেখে পড়তে অভ্যস্ততা অর্জন করেন নাই। আটকে যাচ্ছিলেন। ওনার স্পিচ ২০ মিনিটে যেন শেষ হয় তেমন কম্প্যাক্ট করতে হবে।