গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মো. আব্দুন নাসের প্রথম আলোকে বলেন, লাশ উত্তোলনের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা থানায় পৌঁছেছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব দিয়েছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে সমন্বয় করে নিহত ব্যক্তিদের লাশ উত্তোলন করা হবে। তাঁরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ার উজ জামান বলেন, এখন পর্যন্ত লাশ উত্তোলনের নির্দিষ্ট দিন–তারিখ ঠিক হয়নি। পুলিশের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা যোগাযোগ করে লাশ উত্তোলনের তারিখ ঠিক করে নেবেন।
এদিকে ছয়জনের মধ্যে নিহত গৌছ উদ্দিনের লাশ উত্তোলন না করতে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন নিহতের ভাই ও মামলার বাদী মো. রেজাউল করিম। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আবিদা সুলতানার আদালতে তিনি আবেদন করেন। শুনানিতে বিচারক আবেদনের নথি সংরক্ষণ করার কথা বললেও কোনো আদেশ দেননি। এ জন্য লাশ উত্তোলনের আদেশ বহাল থাকছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলার বাদী লাশ উত্তোলন না করতে আদালতে আবেদন দিয়েছেন বলে শুনেছি। তবে আদালত থেকে এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আগের নির্দেশনা বহাল আছে।’ লাশ উত্তোলনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে সমন্বয় করে তারিখ ঠিক করার কথা জানান তিনি।