ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে নিশ্চিত এবং হাসপাতালে নিরাপত্তাসহ ১০ দাবিতে দুই মাস ধরে আন্দোলন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
গেল শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে রাজ্য সরকারকে ১০ দফা দাবি মানার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস’ ফ্রন্ট। সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ায় এবার ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি দিয়েছেন তারা।
রোববার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় বেধে দেওয়া সময় পার হওয়া পরই শুরু হয় ‘আমরণ অনশন’। রাত ৮টার দিকে শহরের ধর্মতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা এ ঘোষণা দেন।
এরই মধ্যে অনশনে যোগ দিয়েছেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের পিডিটি অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, তনয়া পাঁজা, ক্যানসার বিভাগের স্নিগ্ধা হাজরা, এসএসকেএমের পিডিটি অর্ণব মুখোপাধ্যায়, এনআরএসের পিজিটি পুলস্ত্য আচার্য এবং কেপিসি হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা।
আন্দোলনকারী জানিয়েছেন, অনশন মঞ্চে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য তারা সিসিটিভি বসাচ্ছেন। কেউ অসুস্থ হলে রাজ্য সরকারকেই সেটার দায় নিতে হবে।
এদিকে দুর্গাপুজার নিকটবর্তী সময়ে এমন কঠোর কর্মসূচিতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্য সরকারের ওপর। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা যায়নি আন্দোলনকারীদের কাছে। সরকার এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যকার অচলাবস্থা কাটবে কীভাবে সেটিই এই মুহূর্তে সব চেয়ে বড় প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যালের ৩১ বছর বয়সি একজন শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন। ওই হাসপাতালেরই এক সেমিনারকক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে এই ঘটনার সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।