সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন

এবারের দুর্গাপূজা বিশেষ আনন্দে পরিণত হয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রতিবেদকের নামঃ
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৬ প্রদর্শন করেছেন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এবার দুর্গাপূজার আনন্দ বিশেষ আনন্দে পরিণত হয়েছে। দেশজুড়ে যেটা সবাই উপভোগ করছে। এ আনন্দ আরেকটু বেড়ে গেলো এজন্য, একদম নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজার অনুষ্ঠান হচ্ছে। সবাই চেষ্টা করেছে, কোনও রকম দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, কোনও আতঙ্কজনক পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়। এজন্য সরকার এবং সরকারের বাইরে সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছে।

 

শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

সবাই মিলে অত্যন্ত গৌরবপূর্ণ দুর্গাপূজা করতে পারার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর পেছনে আমাদের সহযোগিতা করেছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি, সরকারের কাছে যতো রকমের শান্তিরক্ষা বাহিনী ছিল সবাই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। এটা কঠিন কাজ, সহজ না। এই কঠিন কাজটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সমাধা করতে পেরেছে, সবাই মিলে কাজ করলে যে সফলতা পাওয়া যায় সেটা তারা প্রমাণ করেছে। তারা কষ্ট করার কারণে আমরা ছুটি উপভোগ করতে পারছি। তাদের ধন্যবাদ জানাই।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নিজেদের মনে করিয়ে দেই— সেনাবাহিনীকে দিয়ে, পুলিশকে দিয়ে, র‌্যাবকে দিয়ে আনন্দ, উৎসব করার আয়োজন করতে যাওয়াটা আমাদের ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতাটাকে আমরা গ্রহণ করেছি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমরা সমাজটাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে পারি নাই, কোনও জায়গায় একটা অংশ আনন্দ-উৎসব করবে, কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে নিয়ে আনন্দ উৎসব করবো। এ রকম সমাজকে নিয়ে আমরা কী করবো। এ রকম সমাজ কী আমরা চাই। আমরা এ রকম সমাজ চাই না।

তিনি বলেন, সমাজের যেকোনও অংশ উৎসব করবে, আমরা সবাই মিলে সেখানে শরিক হবো, তারা যেন নির্বিঘ্নে, আনন্দ সহকারে উৎসব করতে পারে, তারা নিজেরা এই আনন্দে অংশ নেবে, এটাই তো হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা ওটা করতে পারছি না। এটা করতে পারছি না বলেই আমাদের ছাত্র-জনতা, শ্রমিক এরা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটা নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন নিয়ে আজ আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই যে আমরা আপনাদের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে উৎসবের সুযোগ করে দিলাম। এটা যেন ভবিষ্যতে আর কখনও করতে না হয়, সে জন্য আমরা একযোগে কাজ করবো। আমরা এমন এক বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই। যে বাংলাদেশে যারা এই দেশের নাগরিক, তাদের সবার সমান অধিকার, এটা আমরা নিশ্চিত করছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ