সোশ্যাল মিডিয়ায় অসম বয়সে বিয়ের কারণে বেশ আলোচিত-সমালোচিত খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিশা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর তিশার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তিশাকে অভিনন্দন জানান মুশতাক।
এসময় ভিডিওতে মুশতাক বলেন, আমার হুররামকে (তিশাকে ভালোবেসে এ নামে তিনি ডাকেন) অভিনন্দন। আপনারা জানেন আজকে এইচএসসির রেজাল্ট দিয়েছে এবং আমাদের জীবনের অনেক চড়াই উতরাইয়ের পরেও তিশা বরাবরই ভালো শিক্ষার্থী হওয়ায় ঈর্ষণীয় ফলাফল করেছে। তাই আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে তাকে অভিনন্দন।
এদিকে ভিডিওর শেষে তিশা বলেন, রেজাল্টের মেসেজ দেখে প্রথমে বিশ্বাস করিনি। পরীক্ষার আগে শেষ দুই মাস অনেক বেশি পরিশ্রম করেছি। এটা যদিও নতুন কিছু নয়; আমার কাছে মনে হয়েছে, হ্যা আমিতো এটাই পাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন অনেক ধন্যবাদ।
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ছিলেন মুশতাক। সে সময় কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন তিশা। ষাটোর্ধ মুশতাক তরুণী তিশার প্রেমে পড়েন।
একপর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা বিয়ে করেন। বিষয়টি তিশার পরিবার মেনে নিতে পারেননি। মেয়েকে হয়রানি ও অপহরণের অভিযোগ তুলে মামলা করে তিশার বাবা সাইফুল।
তাদের বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। গত বইমেলায় তিশাকে নিয়ে মুশতাকের লেখা বইও প্রকাশিত হয়।