সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে শফিকুল ইসলাম (৩৬) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, সাবেক এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ ৩৪৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার সকালে নিহতের বোন আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় এ মামলাটি করেন। আয়েশা আক্তার সাভার পৌরসভার তালবাগ মহল্লার বাসিন্দা।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন-সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব, তার ভাই ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, সাভার পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গনি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাসুদ চৌধুরী, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রফিক, জিএস মিজান, তার ভাগ্নে সাভার পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ লিটন, সাভার থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, সাভার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর হোসেন আলী ও সাভার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অমিত দত্তসহ অন্যান্যরা।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা। আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা, মারপিট ও গুলি বর্ষণ করে হত্যাসহ হুকুম ও প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের।
ওইদিন দুপুরে ছাত্র জনতা বিজয় মিছিল নিয়ে থানার দিকে অগ্রসর হলে সাভার থানা রোডে মুক্তির মোড়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শফিকুল ইসলাম।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া যুগান্তরকে বলেন, ‘জুলাই আগস্ট গণহত্যার বেশ কিছু মামলা পুলিশের অপরাধ সংস্থা সিআইডি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে এসব মামলার বেশ কিছু আসামি গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন। অনেকে আবার রিমান্ডে শেষে কারাগারে আছেন।
ওসি জুয়েল মিয়া আরও বলেন, আত্মগোপনে থাকা আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।