বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

দেশেই আছেন নিপুণ, গ্রেফতার এড়াতে করছেন মিথ্যাচার

বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২১ প্রদর্শন করেছেন

ঢাকাই সিনেমার নায়িকা নিপুণ আক্তার। আওয়ামী লীগের কর্মী ও সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ ভক্ত। মূলত শেখ সেলিমের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের কারণে তিনি এফডিসিতে হয়ে উঠেন প্রভাবশালী। এ নেতার ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে কামিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করেন নিপুণ।

৫ আগস্ট হাসিনা পালিয়ে গেলে অনেক নেতাকর্মী ও শিল্পী দেশত্যাগ করলেও দেশেই ঘাপটি মেরে বসে আছেন নিপুণ। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে দেশ ছাড়তে পারেননি। তবে প্রতিনিয়ত বিদেশের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে তিনি দেশে নেই বলে জানান দিচ্ছেন।

এ নায়িকার ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, নিপুণ দেশেই আছেন। তবে বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। এখনো শেখ সেলিমসহ অনেক নেতার সঙ্গেই তার যোগাযোগ রয়েছে। তবে মামলা-হামলার ভয়ে নিজেকে আড়ালে রেখেছেন তিনি।

এদিকে প্রতিনিয়ত সামাজিক মাধ্যমে ও তার নিজস্ব লোক দ্বারা মিথ্যাচার করে আসছেন এ নায়িকা। বিভিন্ন মাধ্যমে খবর ছড়িয়েছেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের পরই ১০ আগস্ট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার বিদেশে যাওয়ার খবরটিকে সত্য বলে প্রমাণ করার জন্য এটাও ছড়িয়েছেন, বিদেশেও নাকি বাঙালি কমিউনিটির ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না তিনি। ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। সহসা নেই দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা।আলোচনায় থাকতে দেশে ফিরলে তোপের মুখে পড়তে পারেন- এমন মিথ্যাও রটাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিপুণ দেশেই রয়েছেন। অবস্থান করছেন রাজধানীতে তার নিজ বাসায়। মিথ্যা খবর রটানোর কারণ হচ্ছে, যেকোনো উপায়ে আলোচনায় থাকতে পছন্দ করে নিপুণ।

এদিকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজে নিয়মিত পাওয়া যেত এ নায়িকাকে। শুধু তাই নয়, শেখ সেলিম ও আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে নিজের প্রভাব বিস্তার করেন তিনি। এমনকি জোরেই শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার দখল করেছিলেন তিনি। কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজের একক সিদ্ধান্তেই চালাতেন সমিতি।

প্রসঙ্গত, নিপুণ ২০০৬ সালে অভিনয়ে আসেন। তার দুবছর পরই ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। আর তাতেই জীবন বদলে যায় এ নায়িকার। আওয়ামী নেতাদের মনোরঞ্জনের সঙ্গী হয়ে তাদের ক্ষমতাবলে একের পর এক নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করেন। বাগিয়ে নেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ