হোয়াইট হাউস ঘোষণা করেছে, জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো ইউক্রেনকে ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ দেবে। তহবিলটি যে সব ধনী দেশ রাশিয়ার সম্পদ জব্দ করেছে, ওই সব সম্পদের সুদ থেকে দেওয়া হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ওই ঋণের ২০ বিলিয়ন ডলার (২ হাজার কোটি ডলার) প্রদান করবে। আর অবশিষ্ট ৩০ বিলিয়ন ডলার আসবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও জাপানসহ অন্যান্য দেশ থেকে।
বাইডেনের বিবৃতিতে বলা হয়, এই ঋণ কার্যক্রম ইউক্রেনের জনগণকে সমর্থন করবে কারণ তারা তাদের দেশকে রক্ষা করবে এবং পুনর্গঠন করবে। আমাদের প্রচেষ্টা এই বার্তা দিচ্ছে যে, অত্যাচারীরা তাদের ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে।
এদিকে ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার কোটি ডলার ইউক্রেনের অর্থনীতি ও সামরিক খাতের জন্য বরাদ্দ দিতে পারে। আর সামরিক সহায়তা পাঠানোর জন্য দেশটির কংগ্রেসের অনুমোদন লাগে।
এরইমধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, যে অস্ত্র ও সাজসরঞ্জামের যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা ইউক্রেনে পৌঁছাতে কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাস লাগতে পারে।
এতে আরো বলা হয়, ইউক্রেনকে সাহায্য দিতে রাশিয়ার আটক সম্পদ ব্যবহার করার ধারণাটিকে প্রথমে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা বাধা দেন, তারা আইনি ও আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
অর্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বছরেরও বেশী সময় ধরে আলাপ আলোচনা এবং এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি আইন স্বাক্ষর করার পর এই পদক্ষেপ গতি খুঁজে পায়। শেষ পর্যন্ত সেটিই এখন বাস্তবায়নের পথে।
জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো হলো – কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের বিরুদ্ধে রাশিয়ার উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এই জোট। এইদেশগুলো মস্কোর বিভিন্ন অর্থ সম্পদ জব্দ করে রেখেছে।