জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থার (ওসিএইচএ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে হামলায় ৩৬টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আক্রান্ত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এসব হামলায় ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কর্তব্যরত অবস্থায় ৮৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত এবং ৫১ জন আহত হয়েছেন। গত বছরের অক্টোবর থেকে হিসাব করলে অবশ্য নিহতের সংখ্যা শতাধিক।
রোববার (৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
ওসিএইচএ জানিয়েছে, ২০০৬ সালে ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যকার যুদ্ধের চেয়ে লেবাননের বর্তমান মানবিক পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। ওই সময় সাধারণ মানুষের যা দুর্ভোগ হয়েছিল, বর্তমান অবস্থা তা ছাড়িয়ে গেছে।
রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি অনুসারে, ২০০৬ সালের ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধে লেবাননে ১ হাজার, ১৯১ জন নিহত হয়। ওই সময়, ৯ লাখের এরও বেশি মানুষ বাস্তচ্যুত হয়।
লেবানন কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২ হাজার ৯৬৮ জন। আর আহত হয়েছে আরও ১৩ হাজার ৩১৯ জন। এছাড়া প্রায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলছে, তাদের তথ্য অনুযায়ী অন্তত সাড়ে ৮ লাখ মানুষজন তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
যে কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতি স্বাস্থ্যসেবাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের পরিপন্থি। কিন্তু নির্বিচার হামলায় ইসরাইল এসব নীতির কথা তোয়াক্কা করছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, স্বাস্থ্যকর্মী এবং উদ্ধারকর্মীরা অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ইসরাইলি হামলায় ৩১ অক্টোবর দক্ষিণ লেবাননে অন্তত ছয়জন নিহত হয়।