ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ২০১০ সালের একটি মানহানির মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই বেঞ্চ শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হওয়া আরো ৫টি মামলার কার্যক্রমও বাতিল করেছেন।
গত ২৪ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আছাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। প্রায় এক মাস আগে এসব আদেশ হলেও বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান বিষয়টি জানিয়েছেন। মানহানির মামলার বিষয়ে আদালত তার আদেশে বলেন, এই মামলাটি হয়েছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করা এবং এই হয়রানি করতে আদালতকে ব্যবহার করেছিলেন মামলার বাদী।
শ্রম আদালতের মামলাগুলো ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে বিচারাধীন ছিল। এই মামলায় আদালত তার আদেশে লেখেন, এই মামলাগুলো করে আদালতের সময় নষ্ট করেছেন বাদী। শুধু তাই নয়, এসব মামলাই করা হয়েছে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে। আর সে কারণেই এই ৫টি মামলা বাতিল করা হলো।
২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশি এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা কেবল অর্থের জন্য রাজনীতি করেন, এখানে কোনো আদর্শের ব্যাপার নেই।’
তার এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে ময়মনসিংহ জেলা জাসদের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম চুন্নু সেই বছরের ২১ জানুয়ারি ময়মনসিংহের আদালতে একটি মানহানি মামলা করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ওই মামলায় সমন জারি করলে ইউনূস মামলা দায়েরের চার বছর পর গত ১৮ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন নেন।