ফেনীর সোনাগাজীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাহাপুর জিরোপয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনাগাজী থানার ওসি।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে আমিরাবাদের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনকে বাজারে ঘুরতে দেখে সদর ইউনিয়ন যুবদল নেতা সুজন ও পলাশকে জিজ্ঞাসা করেন প্রতিপক্ষের যুবদল নেতা সমির উদ্দিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সমিরকে মারধর করেন সুজন ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনার জেরে রাত ১১টার দিকে সমিরের সহযোগী আনোয়ারের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সশস্ত্র যুবদল কর্মী সুজনের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হন।
আহতরা হলেন- যুবদল নেতা সুজন, পলাশ, মামুন, আনোয়ার, সমির উদ্দিন, মৎস্যজীবী দলের নেতা মিলন ও ছাত্রদল নেতা সজীব। তাদের ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেন জানান, ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের সঙ্গে রেখে দলের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে যুবদল নামধারী কয়েকজন সন্ত্রাসী। গ্রামের লোকজন তাদের প্রতিহত করেছে।
আহত সুজন জানান, উপজেলা যুবদল নেতাদের গ্রুপিংয়ের জেরে শাহাপুরে নিরীহ কর্মীদের রক্তাক্ত করা হয়েছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে রাতেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক টিম ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। হামলার ঘটনায় যুবদল নেতা নুর নবী বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন।