লেবাননে বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে শুরু হয়েছে যুদ্ধবিরতি। কিন্তু এর একদিন না যেতেই গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। মূলত বাস্তচ্যুত বাসিন্দারা তাদের ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। সেখানে সন্দেহভাজনদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। এখনো লেবানন ছেড়ে যায়নি ইসরাইলি সেনারা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জোর দিয়েছে, লিটানি নদীর দক্ষিণে কোনো বেসামরিক আন্দোলনের অনুমতি নেই। কারণ এরইমধ্যে সীমান্তে লেবানিজ বাসিন্দারা কিছু গ্রামে ফিরতে শুরু করতেছে। যেখানে এখনও সেনা মোতায়েন রয়েছে। এরমধ্যে সৈন্যরা ৪ হিজবুল্লাহ সদস্যকে আটক করেছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বুধবার বলেছে যে লেবাননে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের জবাব দেওয়া হবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ লেবাননের সঙ্গে চুক্তি বাস্তবায়নের সময় হিজবুল্লাহ সদস্যদের সীমান্তের নিকটবর্তী গ্রামে ফিরে যেতে না দেওয়ার জন্য জোরালো পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন।
আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাড. ড্যানিয়েল হাগারি একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন: আইডিএফ-এর লক্ষ্য হল চুক্তি কার্যকর করা। আইডিএফ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এবং যেকোনো লঙ্ঘনের জবাব দেওয়া হবে আগুন দিয়ে।
আইডিএফের মতে, মেইস আল-জাবালে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন আক্রান্ত হয়েছে, যা বলেছে, তারা লেবাননে সক্রিয় লড়াই থেকে চুক্তি কার্যকর করার দিকে মনোনিবেশ করেছে।
সন্ধ্যায় সামরিক বাহিনী জানায়, যে সৈন্যরা আজ সন্ত্রাসীদের হত্যা করেছে, বিবৃতিতে বিশদ বিবরণ জানানো হয়নি।
প্রায় ১৪ মাস পর ইসরাইল-হিজবুল্লাহর মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি আঞ্চলিক সংঘাত থামানোর জন্য জরুরি হয়ে পড়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী আপাতত ৬০ দিনের জন্য লড়াই বন্ধ হবে। এখনো ইসরাইলি সেনারা লেবানন না ছাড়লেও এরইমধ্যে যুদ্ধবিরতিকে বিজয় হিসেবে উল্লাস শুরু করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। লেবাননের বৈরুত থেকে গ্রামে সবখানেই বিজয় মিছিল করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে লেবাননের স্পিকার নবীহ বেরি বাসিন্দাদের বাড়ি ফেরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনার ভূমি ও জন্মস্থানে ফিরে যান। তবে তিনি যুদ্ধকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিপজ্জনক অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করেন।