ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে নিখোঁজের ৫ দিন পর স্কুল ছাত্রীর অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানান, স্কুল ছাত্রী লাবণ্য আকতার (৫) এর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটনে দ্রুত কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ভাদুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র রিফাত এবং কোষাডাঙ্গীপাড়ার হুসেন আলী নামে দুইজনকে আটক করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ওই স্কুল ছাত্রী লাবণ্য আকতার হত্যা করার দায় স্বীকার করে শুক্রবার বিকালে ঠাকুরগাঁও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় রিফাত।
তিনি আরো জানান, আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে রিফাত বলেন গত ২৩ নভেম্বর বিকালে ওই স্কুল ছাত্রী লাবণ্যর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে তার মৃতদেহ পাশের আঁখ খেতে ফেলে রাখে সে। রিফাতের বাড়ি দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায়। সে কোষামন্ডলপাড়ায় নানার বাড়িতে থেকে লেখা পড়া করতো। হুসেন আলীকে থানায় আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের বেলাল হোসেনের কন্যা ও কোষামন্ডলপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্রী লাবণ্য আকতার গত ২৩ নভেম্বর বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে বাড়ির পাশের আঁখ খেতে তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তার পিতা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরনের কাপড় দেখে মেয়ের মরদেহ সনাক্ত করেন। ওই রাতে স্কুল ছাত্রী লাবণ্য’র পিতা বেলাল হোসেন বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।