প্রাণি সম্পদ কার্যালয় থেকে এআই টেকনিশিয়ানের (কৃত্রিম প্রজনন) প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এম এ সামাদ মোল্লা। পরবর্তী তিনি পশু চিকিৎসক সেজে বিভিন্ন এলাকায় খামারীদের গরুর চিকিৎসা শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এতে অনেকের পশু মরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারীরা। খামারীরা দিশেহারা হলেও অল্প দিনে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হন তিনি। এমএ সামাদ মোল্লার বাড়ি সদর উপজেলার পাছ বেথইর গ্রামে।
সম্প্রতি টাঙ্গাইলের কালিহাতীর চিনামুড়া গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের খামারে ৭টি গরুর ক্ষুরা রোগ দেখা দেয়। গত ২৪ অক্টোবর আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনের মাধ্যমে এমএ সামাদ মোল্লাকে ডাকেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসার পর ৩০ অক্টোবর এক সঙ্গে চারটি ও পরে আরেকটি গরু মারা যায়।
পরবর্তীতে কালিহাতী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইম আল সালাউদ্দিনকে অবগত করলে তিনি ১ নভেম্বর আনোয়ারের খামার পরিদর্শন করেন। এতে আনোয়ার হোসেন দাবি করেন তার প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে গত ১৭ নভেম্বর আনোয়ার হোসেন জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও র্যাব ১২ অধিনায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি কৃষি কাজ করে কোন রকম সংসার চালাই। যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চালানো, দুই ছেলে ও দুই মেয়ের পড়াশোনাসহ যাবতীয় খরচ বহন করতে হয়। ২০ বছর আগে খুব কষ্টে গরুর খামার করেছিলাম। সেখানে সাতটি গরু ছিল। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় পাঁচটি মারা গেছে। আমি ক্ষতি পূরণ দাবি করছি।
অভিযুক্ত এমএ সামাদ মোল্লা বলেন, আমি গরুর ডাক্তার। তবে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর বিষয়টি অস্বীকার করেন।
কালিহাতী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইম আল সালাউদ্দিন বলেন, সামাদ গরুর কৃত্রিম প্রজননের জন্য এআই টেকনিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তবে তিনি পশুর চিকিৎসা করতে পারেন না। তিনি ভুল চিকিৎসা করে খামারিকে নিঃস্ব করেছেন।