সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ অপরাহ্ন

হাড়কিপটে বোলিংয়ে শতাব্দীর সেরা সিলস

স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১০ প্রদর্শন করেছেন

১৫.৫-১০-৫-৪! এগুলো বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জেইডেন সিলসের ফিগার। যেখানে ওভারপ্রতি মাত্র ০.৩১ রান খরচ করে ৪ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। তার অমন বোলিংয়েই বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রানে গুঁটিয়ে গেছে।

এমন দিনে শতাব্দীর সেরা হাড়কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন এই ২৩ বছর বয়সি পেসার। টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে অন্তত ১০ ওভার বোলিং করা বোলারদের মধ্যে ১৯৭৮ সাল থেকে এটাই সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড। একুশ শতাব্দীতে যেই কীর্তি দেখাতে পারেনি কোনো বোলার। সেই কীর্তিই বাংলাদেশের বিপক্ষে করে দেখালেন সিলস।

এক ইনিংসে অন্তত ৯০টি ডেলিভারি করা পেসারদের মধ্যে টেস্ট ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং। অন্তত ৯০টি ডেলিভারির এই তালিকায় আগের রেকর্ডটি ছিল ভারতের পেসার উমেশ যাদবের। ২০১৫ সালে দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ ওভার বোলিং করে ৩ উইকেট নেওয়ার পথে ০.৪২ করে রান দিয়েছিলেন যাদব। যা এবার টপকে গেছেন সিলস।

এদিন ১৫ ওভারের মধ্যে ১০টিই মেইডেন দিয়েছেন সিলস। খরচ করেছেন মাত্র ৫ রান। যা তাকে একবিংশ শতকে সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল বোলিংয়ের রেকর্ড গড়তে সাহায্য করেছে।

প্রথম দিনে সেইলস বল করেছিলেন মোট সাত ওভার। তার মাঝে মেইডেন দিয়েছেন ৬ টি। দ্বিতীয় দিনে এসে করেছেন ৮.৫ ওভার। তাতে ৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডারের মেরুদণ্ড ভেঙেছেন। আর শেষে এসে তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানার উইকেট নিজের ঝুলিতে পড়েছেন।

টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে অবশ্য সিলসের এই বোলিং ফিগার বেশ পিছিয়েই আছে। এই তালিকায় শীর্ষস্থানটা দখল করে আছেন ভারতের স্পিনার রমেশচন্দ্র নাদকার্নি। ১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভার প্রতি মাত্র ০.১৫ রান দিয়েছিলেন এই ভারতীয়। ৩২ ওভার বল করে মেইডেন নিয়েছিলেন ২৭টিতে। রান দিয়েছিলেন মাত্র ৫। পরের অবস্থানে সাবেক ক্যরিবীয় কিংবদন্তি স্যার গ্যারি সোবার্স। ১৯৫৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ১৪ ওভার বল করে ১১ ওভারেই রেখেছিলেন মেইডেন। তালিকার তিন নম্বরে ফের নাদকার্নির নাম।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ