উন্নতমানের জীবনযাত্রা এবং বড় বেতনের চাকরির খোঁজে উন্নত পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন কী ভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে সেটাই দেখানো হয়েছে শাহরুখ খান, তাপসী পান্নু, ভিকি কৌশল, বোমান ইরানি অভিনীত ডাঙ্কি ছবিতে। এবার তার বাস্তব ঘটনা দেখেছে ভারতে।
বেআইনিভাবে আমেরিকায় যেতে গিয়ে ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েছেন ২৩০ জন ভারতীয়। আমেরিকায় পৌঁছানো তো অনেক দূর, তাদের সবাই ধরে পড়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায়। দালালের মাধ্যমে আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্নে প্রায় ৩ কোটি টাকা খোয়া গেছে তাদের।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
এতে বলা হয়েছে, দালালরা সংশ্লিষ্ট ভারতীয় দলের সদস্যদের বিস্তারিতবাবে জানায়নি যে তাদের ঠিক কোন পথে ধরে আমেরিকায় ঢোকানো হবে। কিন্তু, ওই ভারতীয়দের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় বসার আগেই তাদের প্রত্যেককে চোরাপথে আমেরিকায় ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।
ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ২৩০ জনের ওই দলের মধ্য়ে ১৭০ জনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গুজরাটের। সেই দলে অসংখ্য পরিবার রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের পাশাপাশি রয়েছেন বৃদ্ধ বৃদ্ধারা। রয়েছে বহু শিশু ও নাবালকও। এই মুহূর্তে শারজার একটি হোটেলে ওই ভারতীয়রা রয়েছেন। তাদের মধ্য বাকি ৬০ জন দিল্লি ও পাঞ্জাবের বাসিন্দা।
ঘটনার তদন্ত জানা গেছে, বেআইনিভাবে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে একাধিক দালাল রয়েছে। তাদের মধ্যে যে কয়েকজনের নাম সামনে এসেছে, তারা হল – সমীর, ধবল এবং দুবাইয়ের বাসিন্দা হসমুখ। এছাড়াও এই চক্রে যুক্ত রয়েছে- পাজি এবং ঠাকুর সাহেব নামে দুই ব্যক্তি। দুবাইয়ের আরও এক বাসিন্দা – তার নাম আরকে, সেও এই গোটা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।’
আরও একটি সূত্র বলছে, কাদি, কালোল এবং আহমেদাবাদের দালালরা প্রাথমিকভাবে এই মানবপাচার শুরু করে তারাই ওই ভারতীয়দের প্রাথমিকভাবে বিমানে তুলে দেয়। বেআইনিভাবে আমেরিকায় পাঠানোর জন্য ওই দালালরা ৩ কোটি টাকা নিয়েছিল।