৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় ছোট্ট দেশ ভানুয়াতু। মঙ্গলবার দেশটিতে এই ভূ-কম্পন আঘাত হানে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভানুয়াতুর পোর্ট ভিলার কাছে ৭.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মঙ্গলবার রাজধানী থেকে ৩৭ কিলোমিটার (২২.৯ মাইল) দূরে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরতায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
অবশ্য পরবর্তী প্রতিবেদনে ভূমিকম্পের গভীরতা ৪৩ কিলোমিটার (২৬.৭ মাইল) ছিল বলে জানানো হয়েছে। পরে একই অবস্থানের কাছে ৫.৫ মাত্রার আফটারশক হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ফুটেজে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যসহ পোর্ট ভিলায় অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসের ভবনের জানালার বাকল এবং ধসে পড়া কংক্রিটের পিলার দেখা গেছে বলে রয়টার্স নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট করেছে। অবশ্য প্রাথমিকভাবে আহত বা মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আলজাজিরা বলছে, ভূমিকম্পের পরে ভানুয়াতুর সরকারি ওয়েবসাইটগুলো অফলাইনে রয়েছে এবং পুলিশ ও অন্যান্য সরকারী সংস্থাগুলোর ফোন নম্বরগুলোতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ স্থাপন করা যায়নি। দেশটির জিওহাজার্ড এজেন্সি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলোও আপডেট করা হয়নি।
হনলুলুতে অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলেছে, তারা ভূমিকম্পের পরে ঢেউ পর্যবেক্ষণ করেছে। কিন্তু পরে ফিজি, কেরমাডেক দ্বীপপুঞ্জ, কিরিবাতি, নিউ ক্যালেডোনিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টুভালু এবং ওয়ালিস অ্যান্ড ফুটুনাসহ প্রতিবেশী দ্বীপগুলোর জন্য জারি করা সুনামির হুমকি প্রত্যাহার করে নেয় তারা।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব মেটিওরোলজি জানিয়েছে, দেশটিতে সুনামির কোনো হুমকি নেই। নিউজিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।
উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুতে প্রায়ই ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে থাকে। নিম্নাঞ্চলের এ দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ যে কয়েকটি দেশ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ভানুয়াতু অন্যতম। মূলত দেশটি প্রায়ই ভূমিকম্প, ঝড়, বন্যা ও সুনামির কবলে পড়ে থাকে।