সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ অপরাহ্ন

রেকর্ড গড়া জয়ে সাউদির বিদায় রাঙাল নিউজিল্যান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩ প্রদর্শন করেছেন

জয়টা খুব করেই চেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে ইংল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছে। তৃতীয় টেস্টে হারলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা তো আছেই, সঙ্গে বাড়তি কষ্ট দিত তারকা পেসার টিম সাউদিকে বিদায় জানানোর বেদনা।

যাই হোক, শেষটা সুন্দর করতে পেরেছে কিউইরা। তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে রেকর্ড ৪২৩ রানে হারিয়ে ছিনিয়ে নিয়েছে জয়। এর মাধ্যমে সাউদিকেও একটা রাজসিক বিদায় উপহার দেওয়া গেছে। পরিসংখ্যান বলছে, ইংলিশদের বিপক্ষে রানের ব্যবধানে এটাই নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয়।

শুধু তাই নয়, টেস্টে নিজেদের ইতিহাসে রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডটিও আজ ছুঁয়ে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। ২০১৮ সালে ক্রাইস্টচার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪২৩ রানে জিতেছিল কিউইরা।

তবে এমন জয়ের পরও সিরিজসেরার ট্রফি গেছে ইংল্যান্ডের ঘরেই। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করেছে বেন স্টোকসের দল।

জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ৬৫৮ রানের পাহাড় চড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু মিচেল স্যান্টনারের ঘূর্ণি আর ম্যাট হেনরি ও সাউদির পেসে দিশেহারা ইংলিশরা। শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে গেছে ২৩৪ রানে।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষবেলাতেই দুই ওপেনারকে খুইয়ে বসেছিল ইংলিশরা। ২ উইকেটে ১৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা ইংলিশদের ভেলা ভাসিয়ে রাখেন জ্যাকব বেথেল এবং জো রুট। তৃতীয় উইকেটে ১০৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা। তবে দলীয় রান যখন ১২২, তখন রুটকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে কিউইদের স্বস্তি এনে দেন স্যান্টনার।

বেথেল আরও কিছুটা সময় লড়াই চালিয়ে গেলেও তার গাড়ি থামান সাউদি। ৭৬ রান করা বেথেল ফেরার পর আর কেউ ইংল্যান্ডের হাল ধরতে পারেননি। সাতে নেমে ৪১ বলে ৪৩ রানের দ্রুতগতির এক ইনিংস খেলে হারের ব্যবধান কিছুটা কমান গ্যাস অ্যাটকিনসন। তবে স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে তাকেও শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়।

চোটের কারণে শেষদিকে ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস আর ব্যাটিংয়ে না নামায় ৯ উইকেটে ২৩৪ রানেই থামে ইংল্যান্ডের রথ।

৮৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের হার ত্বরান্বিত করেন কিউই স্পিনার স্যান্টনার। বিদায়ী টেস্টের প্রথম ইনিংসে কোনো উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দুই উইকেট শিকার করে দলের জয়ের অবদান রাখেন সাউদি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ