বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকাল বেলাল (৬০)। সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩০ জন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সাদ অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানের উদ্দেশে বাস-ট্রাকে মাঠে আসতে থাকে। মধ্যরাতে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সাদ অনুসারীদের গাড়ি আটকে দেন জুবায়েরপন্থিরা। একপর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে মাওলানা সাদ অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের দুইজন নিহত ও অন্তত অর্ধশত মুসল্লি আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে।
মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান দাবি করেন, মধ্যরাতে সাদ অনুসারীদের অতর্কিত হামলায় তাদের দুইজন সাথী নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন হাসপাতালে শতাধিক সাথী আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অন্যদিকে, মাওলানা সা’দ অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সাদ অনুসারী সাথীদের গাড়ি আটকে দিয়ে এবং ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করলে হামলা চালায় জুবায়ের অনুসারীরা। হামলায় তাইজুল ইসলাম নামে সাদ অনুসারী এক সাথী মারা গেছেন। আহতদের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে হেফাজতের লোকজন আহতদের ওপর হামলা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ওসি বলেন, রাতে ইজতেমা মাঠে মারামারির ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। একজন লোকাল হাসপাতালে, আরেকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। ৫০-৬০ জন আহতের খবর জানা গেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে।