বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বুধবার জানিয়েছেন, নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পারমাণবিক বোমা তৈরি ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন। কারণ, তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ অনিবার্য নয়। আলোচনার পথ খোলা আছে।
তবে ব্লিঙ্কেন আলোচনার কথা বললেও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি এটাও মানছেন, পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে পারে ইরান।
সম্প্রতি মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যস্ত ইরানের অর্থনীতি। মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রেকর্ড দরপতন হয়েছে দেশটির মুদ্রা রিয়ালের। এক ডলারে মিলছে ৭ লাখ ৭৭ হাজার ইরানি রিয়াল।
এছাড়া ইসরাইলের সামরিক অভিযানে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত হেনেছে। দেশটির মিত্র লেবাননের হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে সিরিয়ায় ইরানের প্রধান মিত্র বাশার আল-আসাদের পতন ঘটিয়েছে বিদ্রোহীরা। এই অবস্থায় সামরিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ইরান। তবে এতসব প্রতিকূলতা সত্যেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। যা ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে।
যে কারণেই ইরানের সঙ্গে আলোচনা হওয়া উচিত মনে করছেন ব্লিঙ্কেন। নিউইয়র্কে ফরেন রিলেশনস কাউন্সিলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না পারমাণবিক অস্ত্র অনিবার্য। তবে যেহেতু তারা প্রতিরক্ষার বিভিন্ন লাইন হারিয়েছে। কাজেই নিশ্চিত এ বিষয়ে আরও ভাবনা দেখতে পাবেন। আর আমি মনে করি আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এর আগে, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি হলেও নিজের প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প সেটি প্রত্যাহার করেন। সেই সঙ্গে ইরানের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। পরবর্তী সময়েও বাইডেনের সময়েও যা জারি ছিল। এ ব্যাপারে ব্লিঙ্কেনের মত, কোনো মার্কিন প্রশাসন ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র পেতে দেবে না।
ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একভাবে বা অন্যভাবে, আমি নিশ্চিত যে আমাদের প্রশাসনের যেমন নীতি ছিল, পরবর্তী প্রশাসনও করবে।’