যশোরের বাঘারপাড়ায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ৩০৮ নেতাকর্মীর নামে ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। এই মামলার পাঁচ আসামিকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বন্দবিলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন লস্কর এ মামলা করেছেন। ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ইউনিয়ন পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ তুলে এই মামলা করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বাঘারপাড়ার রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রাজা বাদশা, তানসেন, কবির ও জহির।
মামলার আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজী, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর রশীদ স্বপন, জহুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দিলু পাটোয়ারী, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা, বন্দবিলা ইউনিয়নের খাজুরা বাজারের ব্যবসায়ী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লেন্টু রায়, বন্দবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ ডাকুসহ ৩০৮জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রয়ারি বেলা সাড়ে ৩টায় বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল কৃষকদলের ১২০ থেকে ১৫০ জন নেতাকর্মী বিএনপির পদযাত্রায় অংশ গ্রহণের জন্য উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের ভাটারআমতলায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাতে দেশি অস্ত্রসস্ত্র, লাঠি, হকিস্ট্রিক, ছুরি, চাপাতি, রামদা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা করে। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা রক্তাক্ত জখম হয়। ঘটনার সময় আসামিরা ৫ থেকে ৭টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
বাঘারপাড়া থানার ওসি আব্দুল আলিম সাংবাদিকদের জানান, মামলায় ৩০৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।