ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অজ্ঞাত এক তরুণীকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর সময় জনতার হাতে ধরা পড়েছেন যুবলীগ নেতা শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার মাদকাসক্ত ছেলে ফারহান ভূঁইয়া রনি। লাশ পুড়িয়ে গুম করতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে রাজহাঁস খুঁজতে গিয়ে শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘর থেকে ধোঁয়ার গন্ধ বের হতে দেখেন পাশের বাড়ির বাসিন্দারা। তারা সেখানে গিয়ে দেখেন মাথাবিহীন তরুণীর লাশ পোড়ানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া শানুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া শানুর ছেলে ফারহান ভূঁইয়া রনিকে গ্রেফতার করে। তিনি এলাকার চিহ্নিত মাদকাসক্ত ও ছিনতাইকারী।
আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) শাহীনূর ইসলাম জানান, যুবলীগ নেতার বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে মাটি খুঁড়ে গর্তে ঢুকিয়ে একজনকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তার দেহের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। তবে দেহের সঙ্গে কোনো মস্তক ছিল না। পুড়ানো হাতে চুড়ি থাকায় দেহটি কোনো তরুণীর বলে ধারণা করছে পুলিশ।
স্থানীয়দে বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের পাশের বাড়ির বাসিন্দার ঘর থেকে রাতে রাজহাঁস চুরি হয়। সকাল ৭টার দিকে হাঁস খুঁজতে বের হলে পাশের বাড়ির বাসিন্দা শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘর থেকে ধোঁয়ার গন্ধ বের হতে দেখেন। সেখানে থাকা ফারহান রনির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাড়ির ময়লা কাপড় পোড়াচ্ছেন। তার কথায় সন্দেহ হলে প্রতিবেশী যুবক এনামুল ও তার ভাই রুমান আগুনে কী পুড়ানো হচ্ছে দেখতে চান। এ সময় রনি ক্ষুব্ধ হয়ে তাদেরকে মারধরের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। এতে সন্দেহ হলে তারাসহ গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে ওই গর্তে গিয়ে লাশ পুড়তে দেখেন। এ সময় গ্রামের লোকজন ফারহান ভূঁইয়া রনিকে বেঁধে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
ওসি শাহীনূর ইসলাম আরও বলেন, লাশের পরিচয় শনাক্ত ও হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় রনি নামে যুবলীগ নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করা হলেও শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া শানু পলাতক।