বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতা গুঁড়িয়ে দিতে তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। সিরিয়ায় আগ্রাসন চালিয়ে অর্জিত বিপ্লবকে ধ্বংস এবং দেশটির জনগণের আশাকে দমিয়ে রাখতে চায় ইসরাইল, এমনটাই অভিযোগ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
আনাদোলুর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মিডলইস্ট মনিটর।
এরদোগান বলেছেন, শীঘ্রই বা পরে ইসরাইল পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে তাদের দখল করা সিরিয়ার অঞ্চলগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং এটি করতে বাধ্য হবে।
তিনি আরো বলেন, ক্রমবর্ধমান ইসরাইলি আগ্রাসন সিরিয়ার বিপ্লবকে আড়াল করার এবং এর জনগণের আশা-আকাঙ্খাকে নিভিয়ে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা।
তিনি বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিজয় নিশ্চিত করায় সিরিয়ার জনগণকে সমর্থনে তুর্কির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এরদোগান জোর দিয়ে বলেছেন, তুরস্ক যেকোন পরিস্থিতিতে সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও ঐক্য রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
অন্যদিকে যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ইসরাইলের হামলায় সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সব সামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ ও হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন- সব ধরনের অস্ত্র ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
বাশারবিরোধী আন্দোলনের জেরে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের অনেক অনেক আগে থেকেই সুন্নিপ্রধান সিরিয়ার সঙ্গে সুন্নিপ্রধান তুরস্কের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। দেশটির সঙ্গে আছে দীর্ঘ সীমান্ত। তুরস্কের বাইরে একমাত্র সিরিয়াতেই আনুষ্ঠানিকভাবে তুর্কি সেনা থাকে। এখন, সিরিয়ায় তুরস্কের আপাত বিজয় কতটা সুফল দেবে—সেই প্রশ্ন থাকলো ভবিষ্যতের হাতেই।