শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার হাতে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লাঞ্ছিত, প্রতিবাদে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২৫ প্রদর্শন করেছেন

মাগুরা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে লাঞ্ছিতের পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান শামিমের বিরুদ্ধে।

 

বুধবার এ ঘটনার প্রতিবাদে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি দিয়ে পৌরভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

 

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাইজ নামে ঝিনাইদহের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাগুরা পৌর টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়। প্রায় দেড় কোটি টাকায় সম্পন্ন হওয়া কাজটির কয়েক দফায় বিল পরিশোধ করা হলেও জামানতের ১৭ লক্ষ টাকা পাওনা রয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুলের কাছ থেকে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সেচ্ছাসেবক দল নেতা শামিম একটি চেক আদায় করেন।

 

কিন্তু জেলা শহর উন্নয়ন প্রকল্পের নির্দিষ্ট তহবিলে পরিশোধযোগ্য অর্থ না থাকায় চাপের মুখে তাকে এডিবির তহবিল থেকে অর্থ পরিশোধের জন্য চেক ইস্যু করা হয়।

মেয়র খুরশিদ দায়িত্ব হস্তান্তর করার পর বর্তমান দায়িত্বরত প্রশাসক ও পৌর পরিষদ ভিন্ন প্রকল্প থেকে অর্থ ছাড় করা সম্ভব না, এমন সিদ্ধান্ত নেন।

 

এ ঘটনার পরও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শামিম অর্থ ছাড় করাতে পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে চাপ দিচ্ছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে ৫ থেকে ৭ জনকে সঙ্গে তাকে অফিসকক্ষে আটকে চেয়ার দিয়ে মারতে উদ্ধত হন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন তিনি।

 

মাগুরা পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান বলেন, একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া গুরুতর অপরাধ। আমরা এর বিচার চেয়ে কর্মবিরতি দিয়ে মানববন্ধন করেছি। কিন্তু মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলি আহমেদসহ রাজনৈতিক নেতারা ৩ দিনের মধ্যে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দেন। এরপরে দুপুরে কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয়েছে।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আশরাফুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া টাকার জন্য ঘুরছি। পৌর প্রশাসক আমাদের টাকা পরিশোধের জন্যে নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সেটি না করে ২ লক্ষ টাকা ঘুস দাবি করেন। ওই বিষয়ে আমি আপত্তি জানালে তিনি উলটো পৌরসভায় কর্মরত আওয়ামী লীগের কর্মীদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন এবং কর্মবিরতি চালিয়েছে।

 

তবে ঘুস দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মাগুরা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ