শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:২০ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান সম্পর্কে ‘নতুন সোনালী যুগ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২২ প্রদর্শন করেছেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা বৈঠক করেছেন। এ সময় এই দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্র-জাপান সম্পর্কের নতুন সোনালী যুগের ঘোষণা দেন।

শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরবর্তী প্রতিটি উদ্যোগের পূর্বাভাস দিতে যেয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এরকম পরিস্থিতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে জাপানিজ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারবেন কী না, সে বিষয়টি নিয়ে জাপানে অনেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। বিশেষত, যখন ট্রাম্পের প্রারম্ভিক পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত উদ্যোগগুলো মিত্র ও শত্রু উভয়কেই বিস্মিত করে চলেছে।

তবে এ ধরনের উদ্বেগ দূর করে দুই নেতা একে অপরের প্রশংসাই করেছেন। ট্রাম্প ইশিবাকে ওভাল অফিসে তোলা তাদের দুইজনের একটি ছবি উপহার দেওয়ার মাধ্যমে যৌথ সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন।

এসময় মজা করে ট্রাম্প বলেন, ‘ভালো হতো যদি আমি তার মতো সুদর্শন হতে পারতাম। কিন্তু আমি তা নই’। তিনি গুরুত্বসহকারে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাপানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরোপুরি অঙ্গীকারবদ্ধ। দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতিও দেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নতুন করে চীনের পণ্য আমদানিতে ১০ শতাংশ এবং কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ করে শুল্ক আরোপ করেছেন। তবে আপাতত কানাডা-মেক্সিকোর শুল্ক স্থগিত রাখা হয়েছে। তিনি অন্যান্য দেশের পণ্যেও শুল্ক আরোপের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন, বিশেষ করে যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, যেমন জাপান।

শুক্রবার ট্রাম্প জানান, তিনি বাণিজ্যিক অংশীদারদের পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করবেন।

এ ধরনের পরিস্থিতিতে পাল্টা শুল্ক আরোপ করবেন কি না, এই প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান ইশিবা।

যৌথ বিবৃতিতে দুই নেতা সমমনা দেশগুলোর মধ্যে বহুস্তরবিশিষ্ট পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত ও নিরপেক্ষ রাখার প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

দুই নেতা আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোতে তাইওয়ানের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের ধ্যানধারণার প্রতি সমর্থন জানান। র্যান্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি রিসার্চ ডিভিশনের জাপান লিড জেফরি হরনাং উল্লেখ করেন, নতুন এই চিন্তাধারা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে সীমিত আকারে হলেও তাইওয়ানের প্রতি আরও বেশি কূটনৈতিক সমর্থন দেওয়ার উদ্যোগ প্রকাশ পেয়েছে।

পিয়ংইয়ংয়ের হুমকির মোকাবিলার বিষয়ে দুই নেতা উত্তর কোরিয়াকে পুরোপুরি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের উদ্যোগের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ