বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন

‘জেনারেল ওয়াকার না থাকলে ম্যাসাকার হয়ে যেত দেশটা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৫ প্রদর্শন করেছেন

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান না থাকলে দেশটা ম্যাসাকার হয়ে যেত বলে  মন্তব্য করেছেন রাওয়া ক্লাবের চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল হাই।

জুলাই আন্দোলনের কথা স্মরণ করে সম্প্রতি যুগান্তর মাল্টিমিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেছেন, ৫ আগস্ট জেনারেল ওয়াকার উজ জামান ছিলেন মূসা আলাইহিস (স.) এর মতো। অর্থাৎ ফেরাউনের ঘরে লালিত-পালিত হয়েছেন। কিন্তু মূসা আলাইহিস (স) কি ফেরাউনের পক্ষে ছিলেন?  তার যে বিশাল একটা দিল, মানবতাবোধ, আল্লাহর যে ভয়, সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, এটা একেবারে অসাধারণ।

আবদুল হাই বলেন, এটা অনেক আগে থেকেই আমি দেখেছি, আমার বিশ্বাস ছিল জেনারেল ওয়াকার উজ জামান কখনো ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে কখনোই সমর্থন করবেন না। এ বিশ্বাস আমার শতভাগ ছিল।

তিনি বলেন, জেনারেল ওয়াকার উজ জামান না থাকলে দেশটা ম্যাসাকার (গণহত্যা) হয়ে যেত। সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো কেউ থাকতো না। এ দেশটা চিরদিনের জন্য দখল করে ফেলত। এখানে একটা রাম মন্দির থাকত। বায়তুল মোকাররম মসজিদ ধ্বংস করে সেখানে রাম মন্দির তৈরি হতো। কোনো ক্যান্টনমেন্ট থাকতো না। সেই ভয়াবহ অবস্থা থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন।

আবদুল হাই বলেন, জাতি হিসাবে যদি আমরা সত্যিকারের কৃতজ্ঞ জাতি হয়ে থাকি জেনারেল ওয়াকার উজ জামান মানুষের মনের মনিকোঠায় চিরদিন মূলায়িত হবেন অসাধারণ মানুষ হিসেবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল ভারত।  হাসিনা থাকা মানে দেশটা ইন্ডিয়া। এখন শেখ হাসিনা সেখানেই আছে। তার মানে হাসিনাকে ইন্ডিয়া ক্ষমতায় বসিয়েছে। হাসিনা যাতে নিশ্চিন্ত মনে ক্ষমতা পরিচালনা করতে পারে, মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে সেই জন্য ইন্ডিয়া এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল বিডিআরের ৫৭ জন অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করার মাধ্যমে।  হাসিনা বুঝাতে চেয়েছিল তোমরা কিছুই না, আমরা তোমাদেরকে যেকোনো সময়ে সাইজ করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের কারণেই হাসিনা দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিল। তা না হলে হাসিনা এতোদিন ক্ষমতায় থাকার মতো তার সেই যোগ্যতাও ছিল না, সেই ক্যাপাসিটিও ছিল না। সেজন্য ইন্ডিয়া এ কাজটা ঘটিয়েছে। সেটা করিয়েছে হাসিনার দোসরদেরকে দিয়ে। তার পলিটিক্যাল নেতারা সবাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল।

আবদুল হাই আরও জানান, মইন ইউ আহমেদ প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে এটার জন্য দায়ী। তার উদ্দেশ্যে প্রথমে ভালো ছিল, অরাজকতা থেকে দেশকে রক্ষা করা।  সেই  সময় শতভাগ মানুষ তার পক্ষে ছিল। কারণ সবাই চেয়েছিল যে আমাদের দেশের একটা পরিবর্তন দরকার। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি ক্ষমতার লোভে পড়ে যান।

তিনি জানান, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে হাসিনা হলেন প্রধান আসমি। তারপর নরেন্দ্র মোদি। এরা হলেন মূল আসামি। হাসিনার সঙ্গে তার দোসররা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন; তারা সবাই কিন্ত এখন বিদেশে। দেশে নাই একজনও। এই হত্যাকাণ্ডের একটা স্বাধীন তদন্ত কমিশন হয়েছে। যেটা খুবই শক্তিশালী। আমি খুবই আশাবাদী যে এটার বিচার হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ