বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন

কারাগারে কেমন সময় কাটছে হাজি সেলিমপুত্র সোলাইমানের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫
  • ৫ প্রদর্শন করেছেন

ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিমের কাছে কারাগারে কেমন জীবন কাটাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোজা আছি। বই পড়ি। পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলা যায়।

বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লালবাগ থানার আরেকটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে তোলা হলে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন সকাল ১০ টা ৮ মিনিটের দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালতে সোলাইমান সেলিম ছাড়াও কয়েকজন এমপি-মন্ত্রীকে হাতে হাতকড়া, গায়ে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে হাজির করা হয়। এরপর সবাইকে কাঠগড়ায় রাখা হয়।

অন্যান্য দিনের মতো কাঠগড়ার পাশে পুলিশ সারি করে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে দাঁড়ান। প্রত্যেক আসামির আইনজীবীরাও কাছে চলে আসেন। এসময় আসামিরা ওকালতনামায় স্বাক্ষরসহ তার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।

সোলাইমান সেলিম এক আইনজীবীকে ডেকে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে থাকেন। কথা বলার সময় আইনজীবী সোলাইমান সেলিমের কাছে কারাগারে কেমন জীবন কাটাচ্ছেন জানতে চান।

এসময় সোলাইমান সেলিম বলেন,  ‘রোজা আছি। বই পড়ি। পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলা যায়। সেহরি ও ইফতারে খাবার নরমাল দেয়। দেখছেন না সবার মুখ কেমন শুকনো।’

কিছুক্ষণ পরেই এজলাসে বিচারক আসেন। তবুও কর্ণপাত করেন না সোলাইমান সেলিম। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে সোলাইমান সেলিম বলতে থাকেন, ‘অনেক সাংবাদিক ভুয়া নিউজ করে। তারা লিখেছে শাহজাহান খানসহ অনেকে নাকি কারাগারে ভালো খাবার খাচ্ছে। এসব ভুয়া নিউজ করে আমাদের ১২ টা বাজিয়ে দিচ্ছে।’

এসময় কাঠগড়ার পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বারণ করেন। তখন সোলাইমান সেলিম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জবাই তো দেবেন। একটু সময় দেন।’

এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে সোলাইমান সেলিম আইনজীবীকে বলেন, যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসলেও এতে আমি অবাক হব না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির যেভাবে ভাঙা হয়েছে। বুঝা শেষ।’

পরবর্তীতে শুনানি শেষে সোলাইমান সেলিমকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। এসময় তিনি তার আরেক আইনজীবীকে ডেকে বাবা হাজি সেলিমের খোঁজ নেন। তার বাবার শরীর খারাপ। কী অবস্থা খোঁজ খবর জানাতে বলেন। এরপর হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় সোলাইমান সেলিমকে তার বক্তব্য ‘যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ’ এর বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে বিচার হয় না।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ নভেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে সোলাইমান সেলিমরক গ্রেফতার করে চকবাজার থানা পুলিশ।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হাজি সেলিমপুত্র সোলাইমান সেলিম গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান। এর আগে তার বাবা হাজি সেলিম গত ১ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে গ্রেফতার হন।

গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজী মো. সেলিম মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পাশাপাশি দুই ছেলেও একই আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।  শেষ পর্যন্ত ওই আসনে নৌকার মনোনয়ন পান সোলাইমান সেলিম।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ