রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন

সাভারে উচ্ছেদ অভিযানে হকারদের বাধা, গাড়ি ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৮ প্রদর্শন করেছেন

সাভারে উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারী হকারদের বাধায় পণ্ড হয়ে যায় অভিযান। আশুলিয়ায় ফুটপাতে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে।

পুলিশ অভিযানে বাধা দেওয়া কয়েকজন হকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ ভ্যানে উঠালেও শত শত হকার উত্তেজিত অবস্থায় পুলিশ ভ্যান থেকে তাদের ছাড়িয়ে নেয়।

এ সময় আশুলিয়ায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে ফুটপাতে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের গাড়িও ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধ হকাররা।

রোববার বিকালের দিকে আশুলিয়ার বলিভদ্র বাজার এলাকায় এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা জেলা প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ, রপ্তানি, ভলিভদ্র, বাইপাইলসহ কয়েকটি পয়েন্টে ফুটপাতে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করতে অভিযান চালানো হয়।

উচ্ছেদ অভিযান বলিভদ্র বাজারে শুরু করার এক পর্যায়ে পুলিশের কাজে বাঁধা দিলে তিনজনকে আটক করে গাড়িতে উঠায় পুলিশ। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের গাড়ি থেকে ওই তিনজনকে টেনে নামিয়ে রাখে এবং পুলিশের একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঠ ১৪-৩৪৩৫) ভাঙচুর করে। এসময় অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ প্রশাসনের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনূর কবির জানান, ঈদকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার গাড়ি এখান দিয়ে যাতায়াত করে। এসব গাড়ি নির্বিঘ্নে চলাচল করার জন্য মহাসড়কের পাশের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে শেষের দিকে বলিভদ্র বাজারে এলাকাতে কিছু দুষ্কৃতকারী তাদের দিকে তেড়ে আসে। তবে তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনার পেছনে অবৈধ চাঁদাবাজরা রয়েছে।

তবে হকাররা জানান, পুলিশ ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতিদিন টাকা দিয়েই তারা ব্যবসা করছেন। তারা বলেন, কয়েকটি জাতীয় দিবসে ও ঈদ উৎসবের আগে তারা হিংস্র হয়ে উঠে এবং চাঁদার পরিমান বাড়ানোর জন্য কয়েকদিনে ব্যবসা বন্ধ রাখে। সময় শেষ হলেই নতুন করে চাঁদা ধরে আবার তাদের বসতে দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হকার নেতা যুগান্তরকে জানান, প্রশাসন পুলিশ ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতিদিন হকারদের থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা উঠনো হয়। মাসে এই টাকার পরিমান প্রায় দেড় কোটি টাকার মতো হবে। দিন দিন এই চাঁদার পরিমান বাড়ছে। কথা না শুনলেই হঠাৎ অভিযানের নামে আমাদের হেনস্থ করা হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ