বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট খেলানো দেশগুলোর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও, আইসিসি তথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছে সহযোগী দেশগুলোর ক্রিকেটের মানোন্নয়নে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে ক্রিকেটের পরিসর দিন দিন আরও বিস্তৃত হচ্ছে।
তবে এই প্রসঙ্গে একটি সাধারণ কৌতূহল থেকেই যায়—বিশ্বের সেরা ফুটবল খেলিয়ে দেশগুলোর ক্রিকেটে অবস্থান কী? তারা আদৌ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করে কিনা, এই নিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।
বিশ্ব ফুটবলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা, যারা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে রয়েছে, তাদের আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিং হলো ৫১। তাদের রেটিং পয়েন্ট মাত্র ৪৭। একইভাবে স্পেন ৩০ নম্বরে, ফ্রান্স ৪৮, ব্রাজিল ৮০, জার্মানি ৩৫, ইতালি ৩১ নম্বরে অবস্থান করছে।
একমাত্র ইংল্যান্ড, যারা ফিফা ও আইসিসি উভয় র্যাঙ্কিংয়েই শক্ত অবস্থানে রয়েছে, আইসিসি টি-টোয়েন্টিতে রয়েছে তিন নম্বরে। নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা ভালো করছে, যথাক্রমে ১৪ এবং ১৮ নম্বরে অবস্থান করছে।
যেসব দেশ ২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে, তাদের মধ্যেও কিছু দেশ ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছে। যেমন—অস্ট্রেলিয়া আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয়, কানাডা ২১, কাতার ২৮, সৌদি আরব ৩২ নম্বরে রয়েছে। তবে ইকুয়েডর, পোল্যান্ড, তিউনিশিয়া, ওয়েলসের মতো কয়েকটি দেশের কোনও র্যাঙ্কিং নেই বা তারা এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেয়নি।
এই বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, ক্রিকেট এখনও ফুটবলের মতো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। ফুটবলে শীর্ষে থাকা দেশগুলো ক্রিকেটে এখনও অনেক পিছিয়ে।
তবুও যেহেতু আইসিসি সহযোগী দেশগুলোকে সুযোগ ও স্বীকৃতি দিচ্ছে, ভবিষ্যতে হয়তো এই চিত্র বদলাতে পারে। তবে আপাতত, ক্রিকেট এখনও মূলত নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলের খেলাই রয়ে গেছে।